- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : আসন্ন রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে কোনও মহল যাতে ইস্যু তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ বার্তা দেন। সভায় পুলিশপ্রধান বলেন, ছাত্র ও শ্রমিক সংশ্লিষ্ট বিষয়, যেকোনও দুর্ঘটনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে কোনও মহল যেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিরোধে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে যেন কোনও ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প-পুলিশকে তৎপর থাকতে হবে। রমজানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে যেন কোনও ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে নিয়মিত টহল জোরদার করারও নির্দেশ দেন তিনি। আইজিপি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল রোধ এবং রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। এ লক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা সবাই সতর্ক থেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদ নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সক্ষম হবো।সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সম্ভাব্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্ভব সংক্রান্ত বিষয়, বাজার মনিটরিং, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপি এবং ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা