• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩০

রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় পোশাক উৎপাদনে ক্রেতা উদ্যোক্তা সব পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক :  বিশ্বব্যাপী প্রতিকুল জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সার্কুলার ইকোনোমিতে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সব পর্যায়ে কার্বণ নি:সরণ কমানো জরুরি। একইসাথে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। অপচয় রোধে উপজাত বর্জ্যকে মূল্যবান কাচামালে পরিণত করতে হবে। এজন্য উৎপাদন কাঠামোতে রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর প্রয়োজন। এর জন্য বড় অংকের বিনিয়োগ ও সহায়ক নীতি কাঠামো নিতে হবে। এই দায়িত্ব উদ্যোক্তা, ভোক্তা, ব্র্যান্ড ক্রেতা, উন্নয়ন সহযোগী ও সরকার সব পক্ষকেই নিতে হবে।ঢাকায় সার্কুলার ইকোনোমি সামিটের বিভিন্ন অধিবেশনে এমন মতামত তুলে ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। সামিটের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বক্তব্য রাখেন। সামিটে সার্কুলার ইকোনোমি সম্পর্কিত ৫টি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ক্রেতা ও উন্নয়ন সহযোগী সরকারি বেসরকারি ৬০ জন বক্তা এসব অধিবেশেন বক্তব্য রাখেন। এ উপলক্ষ্যে ক্রেতা ব্র্যান্ডসহ ২০টি প্রতিষ্ঠান রিসাইকেল প্রযুক্তিতে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করে। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) সামিটের আয়োজন করেছে। দেশে এটি এ ধরণের চতুর্থ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দু’টি বিষয় সাসটেইনেবলিটি গতিশীল করতে পারে। প্রথমত সরকারি নীতি। দ্বিতীয় ভোক্তা, ক্রেতা, উদ্যোক্তা এবং উন্নয়নসহযোগিসহ সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে  প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তাসহ সব ধরণের সহযোগিতা দিতে সরকার প্রস্তুত। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশি^ক ঝুকি এড়াতে অন্যান্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন,  বাংলাদেশের পোশাকের  প্রধান গন্তব্য তার দেশ-এটা নিজের জন্য সম্মানের। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। সেজন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চান তারা। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের প্রসঙ্গে পিটার হাস বলেন, এ বিষয়ে শ্রমিকের ভূমিকা বড়। তবে উ™ে^গের বিষয় হচ্ছে, এখনো অনেক শ্রমিক তাদের যথাযথ অধিকার পাচ্ছে না। অথচ টেকসই উন্নয়নের শর্ত হচ্ছে সবার অধিকার নিশ্চিত করা। শ্রমিকদের সুরক্ষা পণ্যের ন্যায্য দাম পেতে সাহায্য করবে। তবে শ্রমিক অধিকার পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে যা প্রশংসাযোগ্য।

পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শতভাগ কারখানার কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবেশ সহায়ক কারখানা নির্মাণে বড় বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফলে শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে,-যা সার্কুলার টেকসই উন্নয়নের পথে সার্কুলার ইকোনমির যাত্রাকে আরও মসৃন করবে।  পোশাকসহ সব ধরণের শিল্পের জন্য সবুজ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, সার্কুলার ইকোনোমির স্বার্থে পোশাক খাতে রিসাইকেল পদ্ধতির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পুরনো কাপড়ের পোশাক বর্জ্য আমদানির অনুমতি দেবে সরকার। বর্তমানে এধরণের বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ। সচিব বলেন, উদ্যোক্তারা যদি ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে ব্যবহৃত কাপড় এনে রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় পুনরায় ব্যবহার করতে চান তাহলে সরকার এ সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন এনে সহায়তা দেবে। বর্তমানে ছয় হাজার টন বর্জ্য উপজাত হিসেবে পাওয়া যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানিতে বিজিএমইএ যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা অর্জনে আরও বর্জ্যরে প্রয়োজন হবে। দিন ব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশনে অন্যান্য বক্তারা সার্কুলার ইকোনোমিতে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনার কথা জানান। বিশ^ব্যাপী পরিবেশ সচেতনা এবং প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ সংক্রান্ত নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ব্র্যান্ড ক্রেতারা রিসাইকেল্ড পণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।