• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:৩১

রমজানে প্রতি কেজি চিনি ৫ টাকা কমে পাওয়া যাবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর কারণে খুচরা পর্যায়ে চিনির মূল্য সাড়ে ৪ টাকা কমে আসবে। তবে রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের এই মূল্য ৫ টাকা পর্যন্ত কমানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এতে তারা রাজি হয়েছেন। তিনি জানান, রমজানের প্রথম সপ্তাহে ট্যারিফ সুবিধায় আমদানি হওয়া চিনি বাজারে পাওয়া যাবে। রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যারিফ হ্রাসকৃত চিনি এখনও বাজারে আসেনি। রমজানের প্রথম সপ্তাহে ট্যারিফ সুবিধায় আমদানি হওয়া পণ্য পাওয়া যাবে।’তিনি আরও বলেন, মিলগেট মূল্য থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রায় ৫/৬ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হয়। আমদানিকারকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিলগেটের দামে ট্রাকসেলে তারা চিনি বিক্রি করবে। এতে ভোক্তাদের ৫ থেকে ৬ টাকা সাশ্রয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।রমজান মাসে চিনির কোন সংকট হবে না উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে চিনির যে মজুদ আছে এবং যে পরিমাণ চিনি পাইপলাইনে রয়েছে, তাতে সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনির উপর আমদানি ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক হ্রাস করে।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল, শাকসবজিসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কোন পণ্যের ঘাটতি বা মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।তিনি এক সঙ্গে বেশি পণ্য ক্রয় করে বাজারে কোন ধরনের ‘প্যানিক’ সৃষ্টি না করার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি এক্ষেত্রে ভোক্তাদের সচেতন করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান।

পেঁয়াজের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। রমজান মাসে আমরা পেঁয়াজের বাজার নিবিড় মনিটারিং করবো। কোন কারণে দাম বেড়ে গেলে, ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হবে।টিপু মুনিশি আরও বলেন, রমজান উপলক্ষে বেগুন, টমেটো, শসা, মুরগির মাংসসহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়ে যায়। সেই সুযোগে মহাসড়কে খাদ্যদ্রব্য ও শাকবসজি আনার পথে কোনভাবেই যেন চাঁদাবাজি না হয় সে ব্যাপারে কঠোর মনিটারিং করা হবে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এব্যাপারে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সকল জেলা প্রশাসনকেও বলা হবে।তিনি জানান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে। হিসাব করলে দেখা যায়-প্রায় ৫ কোটি মানুষ এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশে দরিদ্রসীমার নিচে ২০ শতাংশ মানুষকে যদি ধরা হয়, তাহলেও দেখা যায় টিসিবির মাধ্যমে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ সুবিধা পাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, এবার রমজান মাসে দুইবার করে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে সহায়তা দিতে সরকার বছরে টিসিবির মাধ্যমে ৯৮০০ কোটি টাকার ভর্তুকি দিচ্ছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজারে মুরগির মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। কিন্তু দেশে মার্কিন ডলারের বাড়তি দাম থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যহ্রাসের সুফলটা পাওয়া যাচ্ছে না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে টাস্কফোর্স সভায় বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফয়জুল ইসলাম, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুসহ সিটি, মেঘনা, দেশ, বসুন্ধরা, টিকে গ্রুপসহ বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে আজ সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশবন্ধু গ্রুপের উদ্যোগে আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি রমজান মাসে দেশবন্ধু গ্রুপের ন্যায় অন্যান্য বড় গ্রুপকে এ ধরনের সামাজিক কর্মসূচি পালনের অনুরোধ করেন। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, জাতীয় প্রেসক্লাব, নিউমার্কেট এলাকা, কারওয়ান বাজার এবং কলমিলতা মার্টেক (বিজয় সরনী) এলাকায় দেশবন্ধু গ্রুপ চিনি ও চালসহ বেশ কিছু নিত্য পণ্য ভর্তুকি মুল্য বিক্রি করবে। রমজান মাস জুড়ে তাদের এই কার্যক্রম চলবে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।