• শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১১ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:২৬

আসলে বিএনপি নেতারা চায় না বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক : তথ্যমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২১ মার্চ, ২০২৩       
  • ৩৬
  •       
  • ২১-০৩-২০২৩, ২১:৫৯:৪৭

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে বিএনপি নেতারা চায় না বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক। তিনি বলেন, 'আসলে বিএনপি নেতারা চায় না বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। কারণ এটি যদি চাইতো, তারা আদালতে গিয়ে বড়বড় আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়তো। তারা কিন্তু মামলা লড়ে না। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মাতব্বরিটা আর থাকে না, সে জন্য উনারা চান না যে, বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক।'মন্ত্রী আজ বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিশেষ শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি নেতারা কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এমন অসুস্থ যে, উনাকে যদি বিদেশ নেওয়া না হয়, উনি মারা যাবেন। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, তারা চাচ্ছিল বেগম খালেদা জিয়া মারা যাক। উনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেন।' 'আর মির্জা ফখরুল সাহেবদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে, দেশে গত ১৪ বছরে কিছু হয় নাই' মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে জনসভা করে, আর বলে যে, দেশে কিছু হয় নাই। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলে দেশে কিছু হয় নাই।' তিনি বলেন, 'ফখরুল সাহেবদের বলি একটু পিছন ফিরে তাকান। আপনারা দেশকে কি উপহার দিয়েছিলেন! দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন। পাঁচশ’ জায়গায় একযোগে বোমা, শায়খ আব্দুর রহমান আর বাংলা ভাই। আর হাওয়া ভবন বানিয়ে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছেন। আমোদফূর্তি করার জন্য আবার খোয়াব ভবনও বানিয়েছিলেন। আর আপনারা সারাদেশে খাম্বা লাগিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ দিতে পারেন নাই। শেখ হাসিনা আজকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে।'

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সোমবারের বিবৃতির বিষয়ে হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, 'আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র দেশে সড়কের যে মন্ত্রণালয় উন্নয়ন করেছে, সেই মন্ত্রণালয় হচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যার মন্ত্রী আমাদের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের।'তিনি বলেন, 'আজকের পদ্মা সেতু সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনেই বাস্তবায়িত হয়েছে। আজকের যে কর্ণফুলি টানেল, যে মেট্রোরেল সেটিও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়েছে। তিনি একজন সফল মন্ত্রী। বিএনপির নেতারা এখন তার পদত্যাগ দাবি করে। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবের পদত্যাগ করা উচিত।' হাছান মাহমুদ আরো বলেন, 'এখন কোনো ইস্যু নাই। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার ইস্যু হালে পানি পায় নাই। ১০ ডিসেম্বর বড় একটা অশ্ব ডিম পেড়েছিল। তাদের আন্দোলনে তাদের নেতারা, কর্মীরাও সাড়া দেয় নাই। এখন কোনো ইস্যু নাই, এখন তারা রোড এক্সিডেন্টের মধ্যে গেছে।'

দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'পাকিস্তান আজকে বাংলাদেশ হতে চায়। এখানেই বঙ্গবন্ধুর দেশ রচনার সফলতা, জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সফলতা। আজকে সমগ্র পৃথিবী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে।' ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি'র সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।