দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : কৃষি বিভাগ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর বগুড়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে প্রতিদিন দাম কমতে থাকায় উৎপাদন খরচ না ওঠার শঙ্কায় আলু চাষিরা।
চৈত্রের কাঠফাটা রোদ মাথায় নিয়ে বিস্তৃত ফসলের মাঠে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার কৃষকরা। সংগ্রহের পর বস্তায় তুলে প্রস্তুত করা হচ্ছে বিক্রির জন্য। আবার অনেক কৃষক জমি থেকেই আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের কাছে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিন হাজার হেক্টর কম জমিতে আলু চাষ হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ফলন ভালো হলেও স্বস্তিতে নেই চাষিরা। সার, সেচ ও কীটনাশকের পাশাপাশি শ্রমিকের দাম বাড়ায় প্রতি বিঘায় আলু উৎপাদনে ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে কৃষকের। আর বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে পরিবহন ও হাটের খাজনাসহ প্রতি মণে খরচ হচ্ছে আরও ৫০ টাকা। এতে দেশি জাতের আলুতে কিছুটা লাভ হলেও বিদেশি জাতের আলুর দাম কমতে থাকায় চিন্তার ভাঁজ কৃষকের কপালে।
কৃষকরা বলেন, সার, ওষুধসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে বাজারে আলুর দাম অনেক কম। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত বছরগুলোতে আলুর দাম নেমে যেত ৬ থেকে ৭ টাকা কেজিতে। তবে এ বছর এখনও দাম ১০ টাকার ওপরে। এতে কৃষকদের লাভ হচ্ছে বলে দাবি তাদের। এদিকে এরই মধ্যে হিমাগারে উঠতে শুরু করেছে আলু। তাই দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মতলুবর রহমান বলেন, ফলন ও বাজারের দাম তুলনা করলে এ বছর আলু উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। এ ছাড়া সামনে দাম আরও কিছুটা বাড়বে বলে আশা করি। চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৩ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ১২ লাখ মেট্রিক টন আলুর উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
দেশকণ্ঠ/রাসু