• সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
    ১৪ মাঘ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৫৮

লালমনিরহাটে রেকর্ড সংখ্যক আগাম জাতের আলু চাষ

  • কৃষি বার্তা       
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫       
  •       
  • ২৫-০১-২০২৫, ২২:২৪:০৪

পথরেখা অনলাইন : জেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ আগাম জাতের আলু চাষ  করেছেন কৃষকরা। তাদের অভিযোগ আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না।

গত ৩ বছর আলুর বাজার ছিলো  বেশি, ২০/১৫ টাকা কেজির আলু সর্বোচ্চ ১২০ টাকা কেজিতেও খেতে হয়েছে। গত বছর আলুর দাম পেয়ে এ বছর কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হয়ে আলু চাষ করেন।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের তথ্য মতে,  চলতি মৌসুমে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় ৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে এর পরিমাণ আরো বেশি হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

গ্রামের সমতলের কৃষকের পাশাপাশি তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান, রত্নাই, সতী নদীর চরাঞ্চলেও ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়েছে। অনেক কোল্ড স্টোরের মালিক শত শত একর জমি এক বছরের জন্য লিজ নিয়ে আলু চাষ করেছে।

ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে আগামজাতের পরিপক্ক আলু উঠতে শুরু করে। সেই  সঙ্গে আলুর দামও কমতে থাকে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাজারে আলুর কেজি ৩৫ -৪৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এখন বর্তমানে বাজারে প্রতি আলু স্থানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এ বছর খাবার আলুর দাম বেশি হওয়ায় বীজ আলু কিনতে হয়েছে বেশি দামে। এছাড়া সার, বীজ, কীটনাশক, চাষের ও পরিচর্যার খরচ মিলে প্রায় এক বিঘা জমি চাষে খরচ পড়েছে ৩৯ হাজার হতে ৪২ হাজার টাকা।

কৃষককে উৎপাদন খরচ তুলতে হলে বাজারে আলুর দাম থাকতে হবে কমপক্ষে ৩৫ টাকা। এছাড়া এ সময়ের উৎপাদিত আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করা যায় না। আরো এক মাস পর যে আলু উঠবে সেই আলু কোল্ডস্টোরে সংরক্ষণ করা যাবে। ।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবছর অনেক কৃষকরা জমিতে বছরে তিনটি করে ফসল চাষ করছেন। ইরি-বোরো ধান চাষের আগে জমিতে আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ নানা রবি ফসল চাষ করে থাকেন। আলু তুলে একই জমিতে সেচ নির্ভর বোরো ধানের চাষ করেন। আলু ৯০ দিনে ফসল হলেও ৬০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। দুই বছর ধরে আলুর দাম বাজারে খুব বেশিা। তাই ব্যাপকহারে আলু চাষে ঝুঁকেছিলেন ব্যবসায়ী ও কৃষক। বিশেষ করে আলু চাষে কৃষকরা গত কয়েক বছর ধরে ভালো লাভের মুখ দেখেছেন। তবে এ বছর পরিস্থিতি ভিন্ন। আলুর ভরা মৌসুম শুরু হওয়ার অন্তত দেড় মাস আগেই কৃষকরা মাঠ থেকে আগাম আলু তুলছেন। ফলন ভালো হলেও তারা বলছেন বাজারে আলুর ন্যায্যমূল্য  পাচ্ছেন না । আলু চাষিরা জানান, গত বছরের আগাম আলুর বাজার ভালো থাকায় এবার দ্বিগুণ জমিতে আলু চাষ করেছেন।

ধরলা নদীর টুনটুনির চরের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, আমার ১৮ বিঘা জমিতে কার্ডিনাল আলু হয়েছে। ১২০ টাকা কেজি দরে বীজ আলু কিনেছি। সারসহ অন্যান্য খরচও বেশি। এখন আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি খরচ পড়েছে ২৫ টাকা। আলুর পাইকারি ব্যবসায়ী মাহফুজার রহমান জানান, আমরা ১৫-২০ টাকা কেজি দরে আলু কিনে মাত্র এক টাকা লাভে বিক্রি করছি। আগাম জাতের আলুর সরবরাহ বেশি, তাই দাম পড়ে গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইখুল আরিফিন জানান,  চাষিদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সময়ের ব্যবধানে আলুর দাম বাড়বে। বিদেশে এখনো রপ্তানি শুরু হয়নি, রপ্তানি শুরু হলে আলুর দাম বাড়বে।

এছাড়া মৌসুমের শুরুতে কৃষক আলুর দাম অনেক বেশি পেয়েছেন। আগাম জাতের আলু সপ্তাহ পর বাজারে পাওয়া যাবে না। প্রকৃত অর্থে আলু উৎপাদনের মৌসুম এখন শুরু হয়নি। ফালগুন চৈত্র মাস পর্যন্ত প্রকৃত আলুর মৌসুম।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।