• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৫৬

বিপাকে জয়পুর হাটের আলুচাষিরা

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ জয়পুরহাটের চাষিরা। একই সঙ্গে বিপাকে ব্যবসায়ীরাও। আর চাহিদার তুলনায় বেশি ফলন হওয়ায় এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিপণন অধিদফতর।
 
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার খারিতা গ্রামের কৃষক মাহবুব আলম চলতি বছর তার ৩৮ বিঘা জমিতে চার হাজার মণ আলু উৎপাদন করেন। এরই মধ্যে দুই হাজার মণ বিক্রি করলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বাকিগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জেলায় প্রতিমণ হাইব্রিড আলু ৩৯০ টাকা ও দেশি আলু ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারিতে প্রতিকেজি আলু ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আলু বিক্রি করতে পারছি না। দাম অনেক কমে গেছে। অথচ বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। উৎপাদন খরচও উঠছে না। ফলে আমাদের বেহাল দশা।’
 
শুধু মাহবুব আলমই নন, এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন জেলার অধিকাংশ কৃষক ও ব্যবসায়ী। গত বছর বেশি লাভের আশায় ১৯টি হিমাগারে আলু রেখে শেষ মৌসুমে দাম না পেয়ে বাধ্য হয়ে হিমাগারেই রেখেছেন। তবে এ বছর মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম ভালো পেলেও বর্তমান বাজারে প্রতিদিনই দর কমছে। এক কৃষক বলেন, ‘কেউ আলু কিনছেন না। আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আলু উৎপাদন করতে যা খরচ পড়ে, সে তুলনায় দাম পাচ্ছি না।’ এদিকে আলুর আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় আক্ষেপ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘মৌসুমের শুরুর দিকে আলুর দাম ভালো ছিল। কিন্তু বর্তমানে আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছি। আমরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় বসে আছি, কিন্তু বেচাবিক্রি নেই।’
 
জেলার সব কটি হিমাগার ভরে যাওয়ায় এবং চাহিদার তুলনায় এবার বেশি উৎপাদন হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাটের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রতন কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছি যেন দাম আরও না পড়ে যায়। সেই সঙ্গে রফতানিরও চেষ্টা করছি।’ এমন পরিস্থিতি নিরসনে আগামী বছর আলুর আবাদ কমিয়ে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধের কথা জানিয়েছেন জয়পুরহাটের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন।
 
উল্লেখ্য, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি বছর ৩৮ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে ৯ লাখ ২৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে।
দেশকন্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।