• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২৬

চীনা বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বেজা ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত

দেশকন্ঠ  ডেস্ক : অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) করেছে। এর আওতায় দুই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দেশে চীনা বিনিয়োগ আনতে যৌথভাবে কাজ করবে।বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেজার মহাব্যবস্থাপক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান ও বিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন মৃধা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং বিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সভাপতি মো. সুলতান উদ্দীন ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।

শেখ ইউসুফ হারুন এমওইউ স্বাক্ষরের জন্য বিসিসিআইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে  বিনিয়োগকারিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে আমরা বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করছি এবং পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে জমি প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে সরবরাহ কাঠামো শক্তিশালী রাখা, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ ও রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখতে বেজা কাজ করে যাচ্ছে।বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, চীনের সঙ্গে জিটুজি ভিত্তিতে চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে বেজার আওতায় যে সকল সরকারি ও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ চলমান রয়েছে সেখানে চীনা বিনিয়োগকারিরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ করছেন। তিনি বেজা স্থাপিত পর্যটন পার্কসমূহে চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বেজা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

বিসিসিআই ও বেজার এই যৌথ প্রয়াস অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে চীনা বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন মৃধা বলেন, চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। তবে বেজার সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে সেই প্রয়াস আরও গতি পাবে। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বেজার যেসব সেবা রয়েছে সেগুলো আরও সহজ ও দ্রুততর করার প্রয়োজন। একইসাথে বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োগ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে আমরা সহজে বিনিয়োগকারিদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবো।তিনি জানান, বিসিসিআই ২০০৩ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে এবং সংগঠনটিতে বর্তমানে ৪৫০ জন চীনা বিনিয়োগকারি রয়েছেন।উল্লেখ্য,এমওইউ’র আওতায় দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করবে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।