দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চর লড়াইপুরের বাসিন্দা মিলন মাঝি। বছরের অন্য সময় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও মৌসুমে তরমুজ চাষ করেন। বিগত বছর ভালো দাম পেলেও এ বছর তিনি খরচ তুলতে পারছেন না। বিক্রির জন্য ট্রলারভর্তি তরমুজের চালান নিয়ে এসে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ তিনি। মিলন মাঝি বলেন, ‘দাদনের টাহা উঠবে না ভাই। দোষ দিমু আর কারে? পানির দামে তরমুজ দিয়াও খরচার টাহা উঠবে না এবার।’আরেক চাষি মাসুদ মিয়া ট্রলার থেকে কীর্তনখোলার শাখা খালে ছুড়ে ফেলছিলেন পচে যাওয়া তরমুজ। তিনি বলেন, তরমুজ বিক্রি করে আগামী বছর ভালোভাবে সংসার চালানোর ইচ্ছা ছিল। তা আর হলো না। আসতে আসতেই ট্রলারে পচে গেছে অনেক তরমুজ।
এখন ট্রলার ভাড়া আর শ্রমিক খরচ দিয়ে আড়তদারের দাদনের টাকা শোধ করার উপায় নেই। সংসার চালানোর কথাতো আসবে পরে। শুধু মিলন মাঝি বা মাসুদ মিয়া নন এমন হাজারো চাষির স্বপ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ভাসিয়ে দিতে দেখা গেছে রোববার (২ এপ্রিল)। ফলন ভালো হলেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের চাষীরা। মুনাফা তুলতে ‘পানির দামে’ পাইকারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ক্ষেতভর্তি তরমুজ। আবার অনেকেই নদীতে ফেলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি পরিবহনের অসুবিধার জন্য ট্রলারেই পচে যাচ্ছে মৌসুমের চাহিদা সম্পন্ন লাল সবুজের সোনালী শস্য। কৃষকরা বলছেন, তিন ধরণের ক্ষতির মুখে দাদনের টাকা পরিশোধ দায় হয়ে যাবে এবার।
দেশকন্ঠ/অআ