• বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১১ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:২৭

প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন শুনানিতে যা হলো

  • জাতীয়       
  • ০৩ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৪০
  •       
  • ০৩-০৪-২০২৩, ১০:৩৪:২০

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করতে বলা হয়েছে। রোববার (২ এপ্রিল) বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানির শুরুতে মতিউর রহমানের আইনজীবী ফিদা এম কামাল বলেন, ‘যে অভিযোগটা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। বিষয়টি একাত্তর টিভির একজন সাংবাদিক পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হয়ে রিপোর্ট করে সবাইকে বিভ্রান্ত করেছেন। মতিউর রহমান একজন সম্মানিত সাংবাদিক। তাকে এভাবে হ্যারাজমেন্ট করার মানে হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম আলোর অনলাইনে দিনমজুরের উদ্ধৃতি ছাপা হয়েছিল, সেখানে শিশু সবুজের কোনো নাম ছিল না।’
 
এ সময় আদালত বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রথম আলো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। তাদের স্লোগান আছে সত্যের সন্ধানে। আপনারা যদি এরকম ভুল করেন, দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেন, তাহলে কেমনে হবে?’ উত্তরে ফিদা এম কামাল বলেন, ‘আমরা তো ভুল করিনি। বিষয়টি একাত্তর টিভির একজন সাংবাদিক পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হয়ে একটি রিপোর্ট করে সবাইকে বিভ্রান্ত করেছেন। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী যে মামলাটি করেছেন তিনি কীভাবে এখানে সংক্ষুব্ধ হলেন, সেটাই তো বুঝলাম না। আমরা মনে করি, ডিজিটাল আইনের মামলাটি এখানে প্রয়োগযোগ্য নয়।’ এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ‘আমি নিজেও প্রথম আলোর পাঠক। প্রথম আলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষের পত্রিকা। কিন্তু এসব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কী কাজটি প্রথম আলো করল? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে টালমাটাল সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে সাত বছরের একটি বাচ্চা সবুজের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলেছে। পরে এটি প্রত্যাহার করলেও যা ক্ষতি করার তারা তা করে দিয়েছে। সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।’ আদালত বলেন, ‘যেহেতু তারা একটি সংশোধনী ছাপিয়েছে আর আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সবার রয়েছে।’
 
এ সময় সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ‘প্রথম আলোর রিপোর্টার শামসুজ্জামান কারও দ্বারা মোটিভেটেড হয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। কারও দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছেন। দেশের ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা এ কাজ করেছেন। প্রথম আলোর মতো পত্রিকা যদি এ কাজ করে তাহলে দেশ কোথায় যাবে?’ একপর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম আলোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তো সরকার করেনি। আরেকজন সাংবাদিকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।’ তখন আদালত বলেন, ‘অভিযোগ নিয়ে তো প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া যেত।’ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তারা ভুল করলেন, আবার প্রত্যাহার করলেন। বিষয়টি এমন যে পকেট মেরে আবার টাকা ফেরত দিলেন।’ আদালত বলেন, ‘ভুলটা নজরে আসার পর তো তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’ শুনানি শেষে আদালত ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। গত বুধবার মধ্যরাতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়। এছাড়া সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদেরও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
 
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইনে করা একটি প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। প্রতিবেদনটি করেছিলেন সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান। ওই প্রতিবেদন নিয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটি তেজগাঁও থানায়, আরেকটি রমনা থানায়। রমনা থানার মামলায় মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়। তেজগাঁও থানার মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। রমনা থানার মামলায় এখন কারাগারে আছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান। তাকে প্রথমে মামলা ছাড়াই তুলে আনে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়ার পরপর রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।