• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৫

মেহেরপুরে দুইভাইকে হত্যার দয়ে ৯ জনের মৃত্যুদন্ড

  • সারাদেশ       
  • ০৩ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৫২
  •       
  • ০৩-০৪-২০২৩, ২৩:৩২:১৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের সহোদর রফিকুল ইসলাম ও আবুজেল হোসেন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশসহ প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।রোববার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলো- মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে আব্দুল হালিম,একই গ্রামের আসের হালসানার ছেলে আতিয়ার রহমান,  আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দিন,  নজির আলীর  ছেলে শরিফুল ইসলাম, দবির উদ্দিনের ছেলে শরিফ হোসেন,  নবীর উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন, আফেল উদ্দিন ওরফে আফেল সরদারের ছেলে আজিজুল হক, দাবির উদ্দিনের ছেলে ফরিদ হোসেন এবং মুনসুর আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম মনি। দ-িতদের মধ্যে জালাল উদ্দীন পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক জানান- ২০১২ সালের ৫ জুন গাংনীর কাজিপুর এলাকায় চোরাচালানীদের ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান ধরা পড়ে। চোরাচালানীরভ চোরাচালান ধরিয়ে দেবার সাথে সম্পৃক্ততা আছে সন্দেহ করে কিয়ামুদ্দীনের ছেলে আবুজেল (৩৫) ও রফিকুল ইসলামকে (৪০)। তাই ২০১২ সালের ১৫ জুন রাতে বিষয়টি মীমাংসা করবে বলে দুই ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। ১৬ জুন সকালে ভারত সীমান্তের ১৪৫ নং/এস-৬ নং সীমানা পিলারের কাছ থেকে বাংলাদেশ অংশে ৭০-৭৫ গজ দক্ষিণে কাজিপুরের লালটুর মরিচ ক্ষেত থেকে তাদের দুইভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়।

পরে দুই সহোদর হত্যার ঘটনায় নিহতের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে দঃবিঃ ৩০২/৩৪ ধারায় গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১, জি আর কেস নং ৪৩৩/১২, দায়রা নং ১১/২০১৫। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার ওসি আসাদুজ্জামান মামলার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যে আসামীরা দোষী প্রমানীত হওয়ায় আদালত মামলার আদেশ প্রদান করেন। মামলার অপর আসামি আরিফ, রাজিব, আলমেস, হারুন ও ফারুকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে এড. আতাউল হক, এ কে এম শফিকুল আলম এবং কামরুল হাসান কৌশলী ছিলেন। কাজী শহিদুল হক জানান- চাঞ্চল্যকর দুইভাই হত্যার মামলার রায় ঘোষণার আগে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বেলা ১১ টার পর বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এজলাসে প্রবেশ করেন। এরপর কয়েকটি মামলার শুনানি শেষ করে চাঞ্চলকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মেহেরপুরের ইতিহাসে এই প্রথম একসাথে নয়জনের ফঁসির আদেশ হলো বলে তিনি জানান। মামলার বাদি জরিনা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন- এমন আদেশ শোনার অপেক্ষায় ছিলাম। তিনি অবিলম্বে এই রায় কার্যকরের দাবি জানান। আসামীপক্ষের আইনজীবী শফিকুল আলম জানান- এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।