• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৬

সারের দাম বাড়বে না সংকটও হবে না : কৃষিমন্ত্রী

দেশকন্ঠ ডেস্ক : আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫শ’ টন সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আজ সোমবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।বর্তমান সরকারকে কৃষকবান্ধব সরকার বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কৃষি উৎপাদন বজায় রাখতে সারের দাম বাড়ানো হবে না। সারের কোনরকম সংকটও  হবে না।এ সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বিসিআইসির চেয়ারম্যানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১৪ বছরে সারের কোন সংকট হয়নি। সারের সংকটের কথা মানুষ ভুলে গেছে, সার নিয়ে কোন মানুষের মধ্যে কোনরকম শংকা নেই। অথচ বিএনপির আমলে কৃষক সার পায়নি, সারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল, ১৯ জন কৃষককে সে সময় প্রাণ দিতে হয়েছিল। তিনি বলেন,  যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার সার নিয়ে কোন সংকট সৃষ্টি হতে দেবে না। সার নিয়ে যাতে কোন কৃষককে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, সে বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই, এ বছরও আমাদের সারের দাম বৃদ্ধির কোন পরিকল্পনা নেই। সারের দাম বাড়ানো হবে না।’

স্থানীয়ভাবে সার উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন বিসিআইসির (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন) সার কারখানাগুলোর যে সক্ষমতা আছে, যদি গ্যাস সরবরাহ করা যায় তাহলে খুব কম পরিমাণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে বা আমদানি করতে হবেই না, আমরা এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি। চলতি অর্থবছরে সারে কতটা ভর্তুকি দিতে হবে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বছর শেষ হওয়ার আগে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, আরও ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বছরে শেষে বলা যাবে আসলে কত টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।আগামী অর্থবছরে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ১৬ লাখ টন ডিএপি, সাড়ে ৭ লাখ টন টিএসপি, ৯ লাখ টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এনপিকেএস, সাড়ে ৫ লাখ টন জিপসাম, এক লাখ ৪০ হাজার টন জিংক সালফেট, ২ হাজার ৫শ’  টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেশিয়াম সালফেট এবং ৫০ হাজার টন বোরন প্রয়োজন হবে বলেও জানানো হয়।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।