• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:২৭

বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

  • সারাদেশ       
  • ০৪ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৫৪
  •       
  • ০৫-০৪-২০২৩, ০০:৩৪:৩০

দেশকন্ঠ ডেস্ক : বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।তবে, এখনো থেমে থেমে আগুন জ্বলছে এবং  চারদিকে কালো ঁেধায়া দেখা যাচ্ছে। আগুন সম্পূর্ণরূপে নেভাতে আরও সময় লাগবে। দমকল বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ,স্থানীয় ব্যবসায়ী, ওই এলাকার বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে।ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বাসসকে বলেন, দমকল বাহিনীর মোট ৪৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে একনাগাড়ে প্রায় সাড়ে ৬ঘন্টা প্রয়াসে 'দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি জনান, আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । এরপর একে-একে ৪৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মিলিত ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে। এছাড়া বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ডার গার্ড বালাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র‌্যাব সদস্য, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজন এবং সংস্থার সেচ্ছাসেবী দল  কাজ করছে।  আইএসপিআর’র সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বাসস’কে বলেন, ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ড শুরুর পরপরই সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল সেখানে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ অব্যাহত রাখে। এর পাশাপাশি সেখানে বিমান বাহিনীর একটি সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার কাজ করে। আগুন লাগার খবর পেয়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যে যার মতো করে দোকান থেকে জিনিসপত্র বের করে আনার চেষ্টা করেন। সকালে আগুনের খবর পেয়ে অনেক ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে এসে আহাজারি শুরু করেন। অনেকে জিনিসপত্র বের করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মার্কেটে বিভিন্ন রকমের কাপড় থাকায় আগুনের ব্যাপকতা অনেক বেশি ছিল। তবে প্রথম দিকে অনেক ব্যবসায়ী তাদের মালামাল বের করতে সক্ষম হন। তারা ভ্যান ও পিকআপ ভ্যান দিয়ে মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বললেও এর আগেই বঙ্গ মার্কেটের বেশিরভাগ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বঙ্গবাজারে অন্তত ছয়টি মার্কেটে আগুন লাগে। এর মধ্যে শুধু বঙ্গ মার্কেটেই প্রায় ৩ হাজার দোকান রয়েছে।বঙ্গবাজার মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ মার্কেট, আদর্শ মার্কেট- এই চারটি মার্কেট এক জায়গায় হওয়ায় মূলত সবগুলোকেই লোকজন বঙ্গবাজার মার্কেট হিসেবে চিনে। এখান থেকে রাস্তার উল্টো পাশে এনেক্সকো ও বঙ্গো হোমিও মার্কেটেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। বঙ্গবাজারের ৩৫০ নম্বর দোকানের ব্যবসায়ী মামুন জানান, এই অগ্নিকান্ডে ৪ থেকে ৫ হাজারের মতো দোকান পুড়ে গেছে। এর ফলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে তারা আশঙ্কা করছেন।এদিকে বঙ্গবাজারের এনেক্সকো টাওয়ারে ৫ থেকে ৭ তলা পর্যন্ত পুড়েছে। সেখানে প্রত্যেক  তলায় ১১৫টির মতো দোকান রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।