• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১০

কৃষকদের মাঝে আশার সঞ্চার কো-কম্পোজ জৈব সার

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদক : পৌরসভার বিশেষ ট্রাক বাড়ি বাড়ি এসে সংগ্রহ করে পয়োবর্জ্য। এরপর শোধনাগারে পাঁচটি ধাপে প্রায় তিন মাসের প্রচেষ্টায় তৈরি হয় জৈব সার, যা জমিতে ব্যবহার করে এরই মধ্যে সুফল পেয়েছেন কৃষকরা। মানুষের মল থেকে জৈব সার তৈরির এ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করে পৌরবাসী ও কৃষকদের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা।
 
পৌরসভায় আবেদন করলে বাড়িতে এসে হাজির হয় ভ্যাকু টেক নামের বিশাল এক গাড়ি। সঙ্গে আসা পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রথমে লম্বা পাইপ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে প্রবেশ করান। এরপর যন্ত্রের সাহায্যে ধীরে ধীরে তুলে নেন পয়োবর্জ্য। এরপর ১৭০ শতক জমির ওপর গড়ে তোলা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ড্রায়িং বেডে নিয়ে ফেলা হয় তরল বর্জ্য। এখানে কিছুটা শুষ্ক হওয়ার পর ব্যবহার উপযোগী জৈব সারে পরিণত হতে আরও চারটি ধাপে পার করতে হয় অন্তত ১১ সপ্তাহ সময়।
 
সমন্বিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার লক্ষ্যে সৈয়দপুর পৌরসভা ওয়াটারএইড বাংলাদেশের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ২০১৮ সাল থেকে পয়োবর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের কাজ শুরু করে। ২০২১ সালে শুরু হয় পয়োবর্জ্য শোধন। ওয়াটারএইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার (ইঞ্জিনিয়ার) মো. শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘সৈয়দপুর পৌরসভায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৭.১ মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদন হয়। সেখান থেকে কিছু জৈব অংশ আমাদের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে এনে ট্রিটমেন্ট করি। গত বছর প্রায় ১৫ মেট্রিক টনের মতো জৈব সার উৎপাদন করেছি। এ বছর আশা করছি প্রায় ৪০ মেট্রিক টন উৎপাদন করতে পারব।’
 
পয়োবর্জ্যের মাধ্যমে জৈব সার প্রস্তুত শুরু হওয়ায় পৌরবাসীর দুশ্চিন্তা যেমন কমেছে, তেমনি পরিবেশ দূষণেও এই পদ্ধতি রাখছে কার্যকর ভূমিকা। স্থানীয়রা বলছেন, আগে সুইপার দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করতে হতো। গর্তের মধ্যে ফেলে মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো। এতে অনেক সময় দুর্গন্ধ ছড়াত। এখন সুবিধা হয়েছে। আবেদন করলেই গাড়ি এসে বর্জ্য নিয়ে যায়। সৈয়দপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ময়লা থেকে সার উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে এখন ময়লা একটা আর্থিক সম্পদে পরিণত হয়েছে। আর এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো উদ্যোগ।’
 
এদিকে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে জাতীয় পদক পাওয়া আহসান উল হক এরই মধ্যে তার ড্রাগন বাগানে আড়াই টন কো-কম্পোজ জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। কৃষি উদ্যোক্তা আহসান উল হক বলেন, ‘এই পয়োবর্জ্য দেয়ার পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে গাছে একটা পরিবর্তন আসে। যেটা অন্যান্য সারে একটু ধীরে আসে। তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা ভালো কিছু হবে।’
 
সৈয়দপুরের ফেইকাল স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ টন সার উৎপাদিত হয়েছে। ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে ২৯ টন সার।
দেশকণ্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।