• শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১১ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:১২

ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালালে একসময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে : তথ্যমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ০৫ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৪৩
  •       
  • ০৫-০৪-২০২৩, ২৩:৪৫:২৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক :  তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালালে একসময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে।তিনি বলেন,  'আসলে বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের নিজেদের ওপরই কোন আস্থা নাই। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে এক সময় পুরো বিএনপি দলটাই জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।’মন্ত্রী  বলেন, নিজেদের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, সেটা তারা জানে। যার কারণে বিএনপিকে নির্বাাচন-ভীতিতে পেয়ে বসেছে। সেজন্য 'ইভিএমেও না’ এবং 'ছাপানো ব্যালটেও না’ বলছেন তারা।'হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন । 'বিএনপি এতদিন ইভিএমের বিরোধিতা করেছে, এখন নির্বাচন কমিশন প্রিন্ট ব্যালটে ভোটের ঘোষণা দিয়েছে, সেটাতেও তাদের আগ্রহ নেই' এমন প্রশ্নে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেকটা তাদের দাবি মেনে নিয়েই ইভিএম থেকে সরে প্রিন্ট ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখানে তো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবিটাই মেনে নেয়া হয়েছে বলে বলা যায়। সুতরাং এখন তারা নির্বাচনের জন্য যদি তাদের দল গোছায় এবং নির্বাচনে আসে, সেটি তাদের জন্যই মঙ্গল হবে।ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে আর পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে আর বিদেশীদের হাতে পায়ে ধরে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায় কি না সেই চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত। তবে এগুলো করে কোনো লাভ হবে না।'

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম এবং তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে আসন পেয়েছিল মাত্র ছয়টি, পরে মহিলা আসনসহ সাতটি।'  'এই নির্বাচনেও তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, সেটা তারা জানে বলেই নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের কোন আস্থা নাই' মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তন: এর আগে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বিশেষ সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেন, এটি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ১৪০ একর জমি বরাদ্দ করেছে। এটিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষামন্ত্রী  ডা. দীপু মনি এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন। এদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কাছ থেকে এতো বেশি সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রামে একটি মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে আরও জমি বরাদ্দের আবেদনটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে শুধু নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা নারী শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষিতই নয়, স্বনির্ভর হয়ে সমাজে অবদান রাখার যোগ্যতা অর্জন করছেন।তথ্যমন্ত্রী তার নিজ শহর চট্টগ্রামে এই বিদ্যাপীঠ  প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হওয়া বহু গ্র্যাজুয়েট সমাজ ও নারী অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে। মানসম্মত শিক্ষার ফলে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অনেক দিক দিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি যোগ্য।সমাবর্তনে সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ব্যাজেল এর প্রথম নারী রেক্টর অধ্যাপক আন্দ্রেয়া শেনকের-উইকিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুবানা হকের সভাপতিত্বে বিশেষ সমাবর্তনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য কামাল আহমেদ, মানবিক অনুষদের ডিন ড. ডেভিড টেইলর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।