- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি রোধে বাস, ট্রেন ও নৌপথে ভাড়া নৈরাজ্য এবং টিকিট কালোবাজারি রোধে তিন স্তরে তদারকি করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এজন্য বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। সেলের সদস্যরা সাত দিন পর অভিযান পরিচালনা করবেন। চলবে ঈদের পর পর্যন্ত। সঙ্গে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানকালে পরিবহণে অনিয়ম পেলে অসাধুদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। রোববার অধিদপ্তর সূত্রে এসব জানা গেছে। সূত্র জানায়, অনিয়ম রোধ করতে রোববার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে হাইওয়ে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও পরিবহণ মালিক সমিতির সঙ্গে জরুরি সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে অভিযানের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। পরে একটি দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। পাশাপাশি সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ঈদ ঘিরে পরিবহণ ভাড়া ও নানা অনিয়ম রোধে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদারকি করা হবে। এজন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিশেষ সেলের সদস্যরা বাস, নৌ ও ট্রেনের টিকিট বিক্রির স্থানগুলোয় অভিযান পরিচালনা করবেন। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া কোনো ভুক্তভোগী প্রমাণসহ সেলের সদস্য, অনলাইন ও অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ দিতে পারবেন। যে কোনো ধরনের নৈরাজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের ভোক্তা আইনের ধারায় কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। এদিকে ভোক্তা আইন ২০০৯ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভোক্তাকে সেবা দানে অনিয়ম করলে এক বছরের দণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া বড় অপরাধের জন্য ৩ বছরের দণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, টিকিট কালোবাজারি ও বাড়তি ভাড়া আদায় ঠেকাতে ঈদের আগে ও পরের ৭ দিন আমরা মনিটরিং করব। আমরা যাত্রীদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করতে চাই। অধিদপ্তর থেকে তদারকি সেল করা হয়েছে। তাতে আমিও রয়েছি। জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তদারকি সুষ্ঠুভাবে করা গেলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। মানুষের ভোগান্তি কমবে। তবে লোক দেখানো যাতে না হয়।
এদিকে পরিবহণ মালিক সমিতি জানায়, ভোক্তা অধিদপ্তরের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরাও চাই যাত্রীরা যেন প্রতারিত ও হয়রানির শিকার না হয়। বরাবরের মতো এবারও নির্ধারিত দামে টিকিট বিক্রি হবে। কেউ যেন নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিতে না পারে, সেজন্য বাস কোম্পানিগুলোকে ভাড়ার তালিকা টাঙাতে বলা হয়েছে। বেশি ভাড়া নেয়ার প্রমাণ পেলে সংগঠনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, গত বছর রোজার ঈদে রাজধানীর শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালানো হয়েছিল। তখন একাধিক পরিবহণকে জরিমানাও করা হয়েছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে এ বছরও রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহণ স্টেশনে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি প্রতারিত ব্যক্তি আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করলে তার পরিপ্রেক্ষিতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। এবারও কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যাত্রীদের কেউ যাতে ঠকাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ঈদে ঘরে ফিরতে যাত্রীদের অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। রেল, সড়ক ও নৌপথে পরিবহণে টিকিট কিনতে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। তাছাড়া বাড়তি টাকা দিয়েও কাক্ষিত সেবা পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতি প্রতিবছর ঘটে। তবে সংশ্লিষ্টরা নানা উদ্যোগ নিলেও তার প্রতিকার যাত্রীরা পান না। অনেক সময় পরিবহণের শ্রমিকদের কাছে যাত্রীদের লাঞ্ছিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। পরিবহণ সংস্থার কাছে বাড়ি যাওয়া ও ফেরার সময় একপ্রকার জিম্মি থাকেন যাত্রীরা।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা