• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৪ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:০৫

ঈদে বাস-নৌ-ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে তদারকি

  • সারাদেশ       
  • ০৫ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৬১
  •       
  • ০৫-০৪-২০২৩, ২৩:৫৪:৪৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি রোধে বাস, ট্রেন ও নৌপথে ভাড়া নৈরাজ্য এবং টিকিট কালোবাজারি রোধে তিন স্তরে তদারকি করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এজন্য বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। সেলের সদস্যরা সাত দিন পর অভিযান পরিচালনা করবেন। চলবে ঈদের পর পর্যন্ত। সঙ্গে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানকালে পরিবহণে অনিয়ম পেলে অসাধুদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। রোববার অধিদপ্তর সূত্রে এসব জানা গেছে। সূত্র জানায়, অনিয়ম রোধ করতে রোববার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে হাইওয়ে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও পরিবহণ মালিক সমিতির সঙ্গে জরুরি সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে অভিযানের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। পরে একটি দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। পাশাপাশি সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ঈদ ঘিরে পরিবহণ ভাড়া ও নানা অনিয়ম রোধে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদারকি করা হবে। এজন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিশেষ সেলের সদস্যরা বাস, নৌ ও ট্রেনের টিকিট বিক্রির স্থানগুলোয় অভিযান পরিচালনা করবেন। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া কোনো ভুক্তভোগী প্রমাণসহ সেলের সদস্য, অনলাইন ও অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ দিতে পারবেন। যে কোনো ধরনের নৈরাজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের ভোক্তা আইনের ধারায় কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। এদিকে ভোক্তা আইন ২০০৯ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভোক্তাকে সেবা দানে অনিয়ম করলে এক বছরের দণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া বড় অপরাধের জন্য ৩ বছরের দণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, টিকিট কালোবাজারি ও বাড়তি ভাড়া আদায় ঠেকাতে ঈদের আগে ও পরের ৭ দিন আমরা মনিটরিং করব। আমরা যাত্রীদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করতে চাই। অধিদপ্তর থেকে তদারকি সেল করা হয়েছে। তাতে আমিও রয়েছি। জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তদারকি সুষ্ঠুভাবে করা গেলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। মানুষের ভোগান্তি কমবে। তবে লোক দেখানো যাতে না হয়।

এদিকে পরিবহণ মালিক সমিতি জানায়, ভোক্তা অধিদপ্তরের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরাও চাই যাত্রীরা যেন প্রতারিত ও হয়রানির শিকার না হয়। বরাবরের মতো এবারও নির্ধারিত দামে টিকিট বিক্রি হবে। কেউ যেন নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিতে না পারে, সেজন্য বাস কোম্পানিগুলোকে ভাড়ার তালিকা টাঙাতে বলা হয়েছে। বেশি ভাড়া নেয়ার প্রমাণ পেলে সংগঠনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, গত বছর রোজার ঈদে রাজধানীর শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালানো হয়েছিল। তখন একাধিক পরিবহণকে জরিমানাও করা হয়েছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে এ বছরও রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহণ স্টেশনে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি প্রতারিত ব্যক্তি আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করলে তার পরিপ্রেক্ষিতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। এবারও কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যাত্রীদের কেউ যাতে ঠকাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ঈদে ঘরে ফিরতে যাত্রীদের অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। রেল, সড়ক ও নৌপথে পরিবহণে টিকিট কিনতে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। তাছাড়া বাড়তি টাকা দিয়েও কাক্ষিত সেবা পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতি প্রতিবছর ঘটে। তবে সংশ্লিষ্টরা নানা উদ্যোগ নিলেও তার প্রতিকার যাত্রীরা পান না। অনেক সময় পরিবহণের শ্রমিকদের কাছে যাত্রীদের লাঞ্ছিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। পরিবহণ সংস্থার কাছে বাড়ি যাওয়া ও ফেরার সময় একপ্রকার জিম্মি থাকেন যাত্রীরা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।