• বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১১ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:২৯

পদ্মা সেতু আমাদের অহংকারের প্রতীক : শেখ হাসিনা

  • জাতীয়       
  • ০৫ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৪০
  •       
  • ০৬-০৪-২০২৩, ০০:১৩:৫৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ দেখিয়ে দিতে পেরেছে যে, আমরাও পারি। এটা আমাদের গর্ব, সক্ষমতা ও অহংকারের প্রতীক। ০৫ এপ্রিল বুধবার গণভবনে পদ্মা সেতুর সরকারি ঋণ পরিশোধের প্রথম চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর অনেক দেশের সঙ্গেই কথা বলেছিলাম; কিন্তু সবাই সরে দাঁড়িয়েছিল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রবল বাধা অতিক্রম করে এ সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে এমন একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছিল যেটা খুবই দুঃখজনক। একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা জন্ম দিয়ে এ সেতু নির্মাণে কেবল বাধা দেয়াই হয়নি; আমাদের ওপর একটা বদনামও দিতে চেয়েছিল। আমরা সেটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। একদিকে যখন বিশ্বব্যাংক টাকা দেয়া বন্ধ করে দিল, তখন সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য সংস্থাও সরে দাঁড়াল। তখনই বলেছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে করব। বিশ্বের সবচেয়ে খরস্রোতা আমাজান নদীর পরই আসে পদ্মা নদীর নাম; কাজেই সেখানে একটা সেতু নির্মাণ করা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটা আমরা করতে পেরেছি। তিনি বলেন, ‘আরেকটা কথা এখানে বলতে চাই, সরকার গঠনের পর থেকে লক্ষ করেছি, সবার মধ্যে একটা ধারণা ছিল কোনো না কোনোভাবে বা কারও কাছ থেকে সাহায্য না পেলে এক কদমও এগুতে পারব না। এ ধরনের ধারণা নিয়েই কিন্তু সবাই চলত। এ জিনিসটা কিন্তু খুব খারাপ লাগতো আমার কাছে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি; মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি; একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদার বোধ থাকার কথা, সেখানেই বড় একটা ঘাটতি লক্ষ করতাম। সে কারণে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে যেদিন করতে পারব, সেদিন করব, তাছাড়া নয়। এভাবে কেউ (একটা সংস্থা) আমাদের অপমান করবে আর আমরা সেটা সহে নেব, এটা কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ দেখিয়ে দিতে পেরেছে যে, আমরাও পারি। এটা আমাদের গর্ব, সক্ষমতা ও অহংকারের প্রতীক হয়ে থাকবে।’
 
পদ্মার দুই পাড়ের সাধারণ মানুষ জমির দলিল আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাদের প্রতি  কৃতজ্ঞতা জনিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ সঙ্গে থাকলে যে কোনো বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেটি প্রমাণ হয়েছে সফলভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে। বাংলাদেশ তার সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে বহির্বিশ্বে। প্রসঙ্গত: পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। এদিন শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল দিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহণ করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। দুই স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় তৈরি সেতুটি ৪১টি স্প্যান নিয়ে গঠিত, যার প্রতিটি লম্বায় ১৫০.১২ মিটার (৪৯২.৫ ফুট) এবং চওড়ায় ২২.৫ মিটার (৭৪ ফুট)। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি (৩.৮২ মাইল)। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, স্প্যান সংখ্যা ও মোট দৈর্ঘ্য উভয়ের দিক থেকে পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু এবং ১২০ মিটার (৩৯০ ফুট) গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু।পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয় ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।