দেশকণ্ঠ প্রতিবেদক : হাইব্রিড সুরভী ধান চাষে বদলে গেছে রাঙ্গুনিয়ার অনেক কৃষকের ভাগ্য। মাত্র ১২৫ দিনে তারা ঘরে তুলতে পারছেন ফসল। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এমন চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহও বাড়ছে। জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে সুরভী জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। দুই ফসলি জমিতে কৃষকরা তিন ফসলি ধান চাষ করছেন। ফলে বছরজুড়েই চোখে পড়ছে তাদের ব্যস্ততা।
পোমরা উত্তর মুল্লুক গ্রামের কৃষক মো. আবুল হোসেন এক কানি জমিতে হাইব্রিড সুরভী ধান চাষ করেছেন। ৪ এপ্রিল ধান কেটেছেন। তিনি বলেন, সুরভী ধানে চিটা নেই। আমন, বোরো চাষ থেকে বেশি ফলন হয়েছে। খরচও অল্প। তিনি আরও জানান, এ জমিতে আগে বোরো এবং এরপর আমন চাষ হতো। এখন হচ্ছে বোরো-আউশ এবং আমন। অর্থাৎ আগের বছরে এ জমিতে দুইটি ফসল হতো। এখন হবে ৩টি ফসল। নতুন করে আউশ ধান চাষ হচ্ছে এ জমিতে। আমাদের চাষাবাদ দেখে অনেকেই সুরভী ধান চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। প্রতি কানিতে কমপক্ষে ২৫ মণ ধান হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীল জানান, এখানে কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছেন। দুই ফসলি জমিকে ৩ ফসলি জমিতে পরিণত করতে কৃষকদের দিয়ে প্রথমে আমন মৌসুমে স্বল্প মেয়াদী হাইব্রিড অ্যারাইজ এজেড-৭০০৬ জাতের ধান চাষ করানোর পর সুরভী-১ জাতের ধান বোরো মৌসুমে আগাম চাষ করালাম। কৃষকদের প্রচেষ্টায় আমরা সফল হয়েছি। এ ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ছয় টনের বেশি হবে।
দেশকণ্ঠ/রাসু