• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩২

কলম্বিয়ায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের হুমকি : ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা

  • আন্তর্জাতিক       
  • ০৮ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৫৮
  •       
  • ০৮-০৪-২০২৩, ২৩:৫১:৫৯

দেশকন্ঠ ডেস্ক : তুষার আচ্ছাদিত আন্দিয়ান আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ধোঁয়া উড়াছে। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের আরেকটি মারাত্মক অগ্ন্যুৎপাতের হুমকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। অগ্নুৎপাত ঘটলে আশেপাশের ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। মার্চের শেষ দিক থেকে আগ্নেয়গিরিটির  দৈনিক কম্পনের সংখ্যা ৫০  থেকে ১২,০০০ এ উন্নীত হলে সেখানে অগ্নুৎপাতের হুমকি দেখা দেয়। সরকারের সরিয়ে নেয়ার জরুরি আহ্বান সত্ত্বেও কলম্বিয়ান আন্দিজের (আন্দেজ পর্বতমালার কলম্বিয়ান অংশে) নেভাডো দেল রইজ আগ্নেয়গিরির পাদদেশে হাজার হাজার গ্রামবাসী তাদের ফসলের যতœ নিতে এবং পশু পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। খবর এএফপি’র।

সরকারের সতর্কতার মাত্রা হলুদ থেকে কমলা পর্যন্ত বাড়িয়েছে এবং আগ্নেয়গিরির পাদদেশে বসবাসকারী ৭,৫০০ মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে বিপদ অঞ্চলে বসবাসকারীদের অনেকই এলাকা  ছেড়ে  যেতে রাজি নয়।প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লুইস ফার্নান্দো ভেলাস্কো বলেন, ৫৭ হাজারের বেশি  লোক এমন সব এলাকায় বাস করে যেগুলো অগ্নুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে গ্রামবাসীদের কাছে গরু,  ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল এবং হাঁস-মুরগি থাকায় তারা সেগুলো চুরি যাওয়ার ভয়ে প্রতিরোধমূলক উচ্ছেদে তারা রাজি নয়। সরকার বলেছে, আশপাশে ৮০ হাজার প্রাণীকে সরানোর ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

১৯৮৫ সালে এই অঞ্চলে নভাডো দেল রুইজের একটি ভয়াবহ অগ্নুৎপাত ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছিল। ওই অগ্নুৎপাতে কয়েক ঘন্টার মধ্যে, লাভার উদগীরণ আগ্নেয়গিরির তুষারের আচ্ছাদনের কিছু অংশ গলে যায় এবং কাদা, ছাই এবং পাথরের প্রচন্ড প্রবাহ পাহাড়ের ধারে প্রবাহিত হয়ে আরমেরো শহরকে ঢেকে দেয়। ওই অগ্নুতপাতে ২৫,০০০ মানুষের প্রাণহানী ঘটে। এটি ছিল  দেশটির স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কর্তৃপক্ষ সে ধরণের আরেকটি ভয়াবগ অগ্নুৎপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে।
দেশকন্ঠ/এআর
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।