• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১০ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:২১

সায়মন বিচের বালুর চরে আটকা পড়ল মৃত তিমি

  • জাতীয়       
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৪০
  •       
  • ১৯-০৪-২০২৩, ১০:০৯:০৪

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‌কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ভাসতে থাকা বিশালাকার মৃত তিমি প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বালুচরে আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সায়মন বিচে এই মৃত তিমিটি আটকে পড়ে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতের কাছে সমুদ্রের পানিতে বিশালাকৃতির একটি মৃত তিমি ভাসতে দেখা যায়। দুপুরে রশি বেঁধে তিমিটি উপকূলে তুলে আনার চেষ্টা করেন সৈকতের স্বেচ্ছাসেবীরা। বিকেল ৪টার দিকে ভাটা শুরু হলে তিমিটি গভীর সাগরের দিকে ভেসে যেতে থাকে। পরে কলাতলী সায়মন বীচে এসে আটকে পড়ে তিমিটি। রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ। 
 
তিনি জানান, প্রায় ১০ ঘণ্টা সাগর ভাসার পর এটি সমুদ্রতীরের বালুচরে আটকা পড়েছে। অর্ধগলিত তিমিটি মনে হয় ২০-২৫ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। এটিকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ তিমির শরীরের জাল মোড়ানোসহ বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। এটি এখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সকালের মধ্যে গর্ত করে পুতে ফেলতে হবে। কারণ কলাতলী পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার দিকে ১০-১২ জন স্বেচ্ছাসেবী দ্রুতগতির কয়েকটি নৌযান (স্পিডবোট) নিয়ে মৃত তিমির কাছে যান। এরপর তারা রশি দিয়ে তিমিটি নৌযানের সঙ্গে বেঁধে কূলে টেনে আনার চেষ্টা করেন। বিশালাকৃতির কারণে তিমিটি ঘটনাস্থল থেকে নাড়ানো সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল থাকা কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় একজন জেলে হিমছড়ি সৈকত থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার গভীর সাগরে বিশালাকৃতির মৃত তিমি মাছটি ভাসতে দেখেন। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়েও তিমিটিকে কূলে আনা যায়নি। তবে রাত ১০টার দিকে এটি বালুচরে আটকা পড়ে। 
 
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, তিমিটি এখনো অগভীর জলে রয়েছে। ড্রোন ইমেজের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ভেসে আসা মৃত তিমিটি ব্রাইডস জাতের। এর বৈজ্ঞানিক নাম বেলিনিওপেট্রা ইডিনি।  তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল দুটি তিমি হিমছড়ির ঠিক একই পয়েন্টে ভেসে এসেছিল। যে দুটি তিমি গত বছর ভেসে এসেছিল সেগুলোও বেলিনিওপেট্রা ইডিনি প্রজাতির তিমি ছিল বলে আমরা ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছিলাম। বেলাল হায়দার বলেন, ভেসে আসা তিমির শরীরে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শরীরে জালের বিশাল রশি পেঁচিয়ে আছে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাছ ধরার বিশাল জালে আটকা পড়ে ও গুরুতর আঘাত পেয়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে তিমিটি মারা গেছে। তিমি সাধারণত মৎস্য শিকারিদের জালে আটকা পড়ে, জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে কিংবা সমুদ্রে শব্দ দূষণের কারণে পরস্পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে উপকূলের অগভীর জলে এসে আটকা পড়ে মারা যায়। কখনো সঙ্গীর মৃত্যু হলেও এদেরকে সৈকতের অগভীর জলে আত্মাহুতি দিতেও দেখা যায়।
 
তিনি বলেন, এ প্রজাতির তিমির দাঁত নেই। মুখের মধ্যে চিরুনির মতো একটি অংশ দিয়ে খাবার প্রক্রিয়াজাত করে। তিমির বিচরণের জন্য গভীর ও ঈষৎ উষ্ণ পানির প্রয়োজন। তাই ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরকে তিমির বিচরণের সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে মনে করা হয়। এরা কখনো একাকী, কখনো যুগলবন্দী কিংবা দলবদ্ধ হয়ে বাস করে। এর আগে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর ও হিমছড়ি সৈকতে বিশাল আকৃতির দুটি মৃত তিমি ভেসে এসেছিল।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।