- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ঈদের লম্বা ছুটিতে ঢাকায় ফাঁকা বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, বাড়ি একেবারে ফাঁকা রেখে না যাওয়াই উচিত। যদি যান তাহলে গহনা ও টাকা-পয়সা নিকট আত্মীয়-স্বজন যারা ঢাকা থাকবেন তাদের কাছে রেখে যান অথবা পারলে নিজের সঙ্গে নিয়ে যান। ১৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান আইজিপি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রতি বছর আমরা ঈদের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। রমজানের সময় সারা মাসজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তার সঙ্গে একটা সময় এসে আমরা মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এখন মার্কেটগুলোর পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাসহ পর্যটনস্থানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছি। পুলিশের সকল ইউনিট দায়িত্ব পালনে এ সময় নিয়োজিত থাকবে। আমাদের স্পেশাল টিমসহ পুলিশের সকল ইউনিট এই ঈদের সময় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিয়োজিত থাকব।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আপনার দেখেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাব কন্ট্রোল রুম করে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। যাত্রী সাধারণ যেন দ্রুত সময়ে নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন সেজন্য আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অন্যান্য বছর সারাদিন যাত্রী সাধারণদের রাস্তায় বসে থাকতে হয়েছে। সরকারের উদ্যোগে পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। আমরা জানি উত্তরবঙ্গের রাস্তারও অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে চন্দ্রার মোড়ে ৮-১০-২০ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। কিন্তু রাস্তার উন্নয়ন হওয়ায় যাতায়াত এখন অনেক সহজ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবহন কাউন্টারগুলোতে কথা বলেছি, এখনো তেমন যাত্রীচাপ পড়েনি। সেহরির পর যাত্রীর চাপ বাড়বে। যাত্রীরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। ঈদের জামাতের মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা ভ্রমণকালে অপরিচিত কোনো মানুষের দেয়া কিছু খাবেন না। এগুলো খেলেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আছে। আমরা আশা করছি- সাধারণ মানুষ কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া ঈদযাত্রা করতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ঢাকা ফাঁকা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটার জন্য আমাদের ঐ সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রাতের বেলা ও দিনের বেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা ছাড়াও বড় বড় শহরেও আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমরা দেখেছি- ফাঁকা ঢাকায় অনেকে বাসা-বাড়ি পরিবর্তন ও ফার্নিচার পরিবর্তন করেন। এমন পরিবর্তন কেউ করতে গেলে নিরাপত্তা প্রহরীরা যেন তাদের প্রশ্ন করেন। পুলিশসহ আমরা সবাই সচেতন থাকলে ফাঁকা ঢাকাকে আমরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে পারব।
তিনি বলেন, বাড়িতে যাওয়ার সময় ঢাকায় ফাঁকা বাসায় অনেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা রেখে যান। দেখা যায় এসব বিষয়ে কাজের লোকসহ অনেকে জানে। এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বাড়ি একেবারে ফাঁকা রেখে না যাওয়াই উচিত। যদি যান তাহলে গহনা ও টাকা পয়সা নিকট আত্মীয়-স্বজন যারা ঢাকা থাকবেন তাদের কাছে রেখে যান অথবা পারলে নিজের সঙ্গে নিয়ে যান। এই লম্বা ছুটিতে এসব মূল্যবান সামগ্রী নিজের ফাঁকা ঘরে/বাসায় রেখে যাবে না।
সম্প্রতি মার্কেটে আগুন লাগার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রত্যেকটি ঘটনা আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। এর মধ্যে নাশকতার কোনো গন্ধ আছে কি না, থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের মার্কেটগুলোর কমিটির সঙ্গে পুলিশ আলোচনা করেছে। তাদের বিভিন্নমুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশসহ অন্যান্য পুলিশের ইউনিট কাজ করছে। গাড়ি বেপরোয়া চালালে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবেন তারাও ব্যবস্থা নিবেন। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা