• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:২৫

ফেসবুক গুগলকে পুরোপুরি করের আওতায় আনার সুপারিশ সিপিডি’র

দেশকন্ঠ ডেস্ক : ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য গ্লোবাল টেক জায়ান্ট কোম্পানিকে পুরোপুরি করের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি কর বিষয়ক এক গবেষণায় এই সুপারিশ উঠে এসেছে। শনিবার ঢাকায় সিপিডি আয়োজিত ‘ট্যাক্সিং দ্য ডিজিটাল ইকোনমি : ট্রেড অফ এন্ড অপরচুনিটিজ’ বিষয়ক সংলাপে এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় সিপিডি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণা সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, ফেসবুক, গুগলসহ বিশ্বের বড় বড় টেক জায়ান্ট কোম্পানির নিকট থেকে ভ্যাট আদায় করা গেলেও আয়কর আদায় করা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশে তাদের অফিস না থাকাই কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইন) নেই। ফলে আয়কর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ বিশ্বের বড় বড় এসব টেক জায়ান্ট প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল অংকের অর্থ আয় করছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি করের আওতায় আনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণের সুপারিশ করে তিনি।  তিনি আশা করেন আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআর এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য গ্লোবাল টেক জায়ান্ট কোম্পানিকে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিবছর প্রায় ২০০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। কিন্ত এর বিপরীতে প্রদেয় কর আমরা পাচ্ছি না। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে নতুন নতুন এসব সেবার বিপরীতে করারোপ করতে হবে।সরকারের ভিশন অনুযায় দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে দেশে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর বিকল্প নেই উল্লেখ করে সিপিডি কর অব্যহতির সংস্কৃতি থেকে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসার সুপারিশ করে। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ডিজিটাল অর্থনীতির আরও কিভাবে প্রসার ঘটানো যায়, সেজন্য সুচিন্তিত উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি। তিনি বলেন, প্রতিবছর যদি কর অব্যহতি চলতে থাকে, তাহলে দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মত প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় বাড়াবো কিভাবে। সেজন্য যেসব জায়গায় কর অব্যহতি আছে-তার কিছু জায়গায় ধাপে ধাপে কর আরোপ করতে হবে। সে বিষয়ে একটা রোডম্যাপ থাকাটা জরুরি।

একইসঙ্গে তিনি স্টার্টআপ কোম্পানির প্রসারের জন্য তাদেরকে ইনসেনটিভ দেওয়ার সুপারিশ করেন। তবে এও বলেন, স্টার্টআপকে এমনভাবে ইনসেনটিভ দিতে হবে, তারা যেন নতুন নতুন খাত তৈরি করে। যার ফলে কর আহরণের নতুন জায়গা তৈরি হবে।সিপিডির এই বিশেষ ফেলো বলেন, ডিজিটাল ইকোনমির কিছু জায়গায় দ্বৈত কর বিদ্যমান রয়েছে। এসব পরিহার করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি ই-কমার্স, ই-বিজনেস প্রসারে নীতি সহায়তা প্রদানের সুপারিশ করেন।সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও আহসান আদেলুর রহমান, সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্ষ ও নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বেসিস পরিচালক হাবিবুল্লাহ এন করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।