• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৪:১৪

কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের চা বাগানে চলছে প্রথমবারের মতো পাতা সংগ্রহ

দেশকন্ঠ ডেস্ক  : জেলায় চা চাষের সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। কুমিল্লা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুর এলাকায় আঁকাবাঁকা মেঠোপথ পেরিয়ে লালমাই পাহাড়ে গড়ে উঠেছে মজুমদার চা বাগান। জেলার পথিকৃৎ এই চা বাগানে এবারই চলছে প্রথম পাতা সংগ্রহের কর্মকান্ড।কুমিল্লার প্রথম এই চা বাগানের মালিক মো. তারিকুল ইসলাম মজুমদার জানান- ২০২১ সালে চাষ করা হলেও এবারই প্রথম চা পাতা সংগ্রহ করা হচ্ছে বাগান থেকে। বাগান ঘুরে দেখা গেছে, লালমাই এলাকায় মাথা তুলে আছে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি পাহাড়। লাল মাটির দু’টি পাহাড়ে সারি-সারি লাগানো হয়েছে চা চারা। মাঝে-মাঝে শেড ট্রি হিসেবে লাগানো হয়েছে সজিনা ও কড়ই গাছ। গরমেও স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ বাগান। কয়েকজন শ্রমিক কচি চা পাতা সংগ্রহ করছেন। তাদের কাঁধে কাপড়ের তৈরি থলে। সংগ্রহ করা কুঁড়ি ও পাতা থলেতে রাখছেন।বাগানের তত্ত্বাবধায়ক রাজু সিং জানান, তার বাড়ি শ্রীমঙ্গলে। তার স্ত্রীও এই বাগানে কাজ করেন। তারা বংশ পরম্পরায় চা বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি জানান, মার্চ মাস থেকে বাগানের পাতা তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১ হাজার কেজির বেশি পাতা তোলা হয়েছে। পাশের পাহাড়ের আরও চারা লাগানো হবে। চায়ের অনেক জাত থাকলেও এই বাগানে লাগানো হয়েছে বিটি-২ চারা। এটি খুব উন্নতমানের চা। এই চারা সংগ্রহ করা হয় শ্রীমঙ্গল থেকে। প্রতিটি চারার দাম ৪৫ টাকা। রাজু সিংয়ের প্রত্যাশা, লালমাই পাহাড়েও একদিন সিলেটের মতোই চা বাগান ছড়িয়ে পড়বে। বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভবনাও।

বাগান মালিক তারিকুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ২০২১ সালের মার্চে প্রথম ৩ হাজার চা গাছ লাগান। তিনমাস পর আরও ৩ হাজার চারা লাগাই। এক একরের বেশি পাহাড়ে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি চারা রয়েছে বাগানে। কিছুদিনের মধ্যে আরও ২০ হাজার চারা লাগানো হবে। তারিকুল বলেন, এখন হাতে চা পাতা তৈরি করছেন শ্রমিকরা। শিগগির বিদেশ থেকে মেশিন এনে স্থাপন করা হবে। মেশিন আসার আগ পর্যন্ত লালমাই পাহাড়ের এই চা গ্রিন টি হিসেবেই খেতে হবে কুমিল্লাবাসীকে। কুমিল্লার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, এখানে চা উৎপাদনে মাটির যে ক্ষার থাকার কথা তা রয়েছে। আমরা উদ্যোক্তাকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তাকে দেখে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন বলে আশা রাখি।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লায় এটি প্রথম চা বাগান। এখানে বৃষ্টির পরিমাণ কম। যদি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে তাহলে ভালো চা হবে।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।