• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৯

সিংহাসনে আরোহণ করলেন রাজা তৃতীয় চার্লস

দেশকন্ঠ ডেস্ক : আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা হিসেবে যুক্তরাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেছেন প্রয়াত রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরাধিকারী যুবরাজ হিসেবে প্রায় পুরো একটি জীবনকাল পার করে দেয়া ৭৪ বয়সী তৃতীয় চার্লস। স্থানীয় সময় ১২টা ২ মিনিটে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি রাজার মাথায় রাজকীয় কর্তৃত্বের পবিত্র ও প্রাচীন প্রতীক হিসেবে সেন্ট এডওয়ার্ড স্বর্ণমুকুট পরিয়ে দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করুন।’ শপথ গ্রহণের পর তাঁকে মুকুট পরিয়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি সিংহাসনে বসেন। পরে রানি ক্যামিলাকেও মুকুট পরিয়ে দেয়া হয়। শনিবার দিনভর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার। জীবনে একবারই এই মুকুট পরার সুযোগ পেলেন রাজা। ঘণ্টাখানেকের মুকুটটি তার মাথায় থাকবে। মুকুট পরিয়ে দেয়ার পর শুরু হয় সিংহাসনে আরোহণের পর্ব। ক্যান্টারবেরি ও ইয়র্কের আর্চবিশপ এবং তাঁদের সহকারীরা রাজাকে সিংহাসনের দিকে নিয়ে যান। এরপর সিংহাসনে বসেন রাজা তৃতীয় চার্লস। এটি অভিষেকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

রাজা-রানির সিংহাসনে বসার মুহূর্তে অ্যাবের ঘণ্টা বাজতে থাকে। পাশে থাকা হর্স গার্ড প্যারেড থেকে দেয়া হয় গান স্যালুট। রাজা সিংহাসনে আরোহণের পর তার ডান হাতে চুমু খেয়ে আনুগত্য প্রকাশ করেন প্রিন্স উইলিয়াম। সর্বশেষ ১৯৫৩ সালে নিজের আভিষেকে সেইন্ট এডওয়ার্ড মুকুটটি পরেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এবার ৭০ বছর পর তাঁর ছেলে চার্লস নিজের অভিষেকে মুকুটটি পরলেন। এই মুকুটটি ১৬৬১ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লসের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা ও সেন্ট এডওয়ার্ড দ্য কনফেসরের নামানুসারে মুকুটটির নাম দেয়া হয়েছে। এডওয়ার্ড মুকুটটিকে পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি কয়েক শ বছর ধরে অভিষেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্রের ৪০তম সিংহাসন আরোহী হিসেবে শপথ নেন চার্লস। ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, অভিষেক শপথের আইনি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রাজাকে আর্চবিশপ বলেন, নতুন রাজা যেন তাঁর শাসনকালে আইনের শাসন ও চার্চ অব ইংল্যান্ডের মর্যাদা সমুন্নত রাখেন।

রাজা তৃতীয় চার্লস পবিত্র গসপেলে হাত রেখে শপথ নেন। এ সময় তিনি আইনের শাসন ও চার্চ অব ইংল্যান্ডের মর্যাদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া একজন ‘একনিষ্ঠ প্রোটেস্ট্যান্ট’ হিসেবে দ্বিতীয় শপথও নেন রাজা তৃতীয় চার্লস। এর আগে অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে পৌঁছান ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা। বাকিংহাম প্যালেস থেকে একটি ঘোড়ার গাড়িতে করে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে পৌঁছেন তাঁরা। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সংগীত ও প্রতীকী আয়োজনে আরও নানা কর্মসূচির পর, রাজা ও রানি ক্যাথেড্রলটি ছেড়ে যান। সেসময় সেখানে উপস্থিত সবাই যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংগীত ‘গড সেভ দ্য কিং’ (ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করুন) গাইতে থাকেন। রাজা চার্লসের অভিষেকে যোগ দিতে দেশ-বিদেশের নেতা ও তারকারাও ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে জড়ো হয়েছেন। বিশ্বের প্রায় ১০০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে চার্লস যুক্তরাজ্যের রাজা হন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।