• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১০ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২৩

ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নিরহংকার ও প্রচারবিমুখ : তথ্যমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ০৯ মে, ২০২৩       
  • ৩৫
  •       
  • ১০-০৫-২০২৩, ০০:০৫:১৭

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক :  তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও প্রচারবিমুখ। তিনি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ  বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রীর স্বামী পরিচয়  কখনো ব্যবহার করতেন না। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যার জামাতা সেই পরিচয়ও দিতেন না। নিরহংকার এই মানুষটির আচরণে এই পরিচয়গুলো কখনো বোঝার উপায় ছিলো না। তিনি বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ড. ওয়ায়জেদ মিয়া পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়ে এর উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন। আজকে যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, এটির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিলো। অর্থাৎ এই কনসেপ্টটি ধারণ করার ক্ষেত্রে এবং এটি করলে পরে দেশের জন্য কি ভালো হবে, সেটি তুলে ধরার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিলো।

ড. হাছান বলেন, ‘২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে প্রচন্ড দুর্ব্যবহার করা হয়েছিলো এবং তারপর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তার অসুস্থতাও বেড়ে যায়।  পরবর্তীতে তিনি ২০০৯ সালে ৯ মে ইন্তেকাল করেন। তার এই মৃত্যু দিবসে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া অনেক বইও লিখেছেন। তার কর্ম, প্রজ্ঞা এবং দেশের প্রতি অবদানের কারণে যুগ যুগ ধরে তিনি দেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। সাংবাদিকরা এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন যে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের কথা তিনি বিশ্বাস করেন না। আর জনগণ মনে করে, মির্জা ফখরুল সাহেব সবসময় মিথ্যা কথা বলেন -এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। মির্জা ফখরুল সাহেবের এটা গুণ না দোষ, যেটিই হোক- সাধারণ মানুষ এটিকে দোষই বলবে। তিনি অবলীলায় সুন্দরভাবে মিথ্যা কথা বলতে পারেন, যা দু:খজনক হলেও সত্য।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক যে কথাটি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমরা বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চাই এবং সেই ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।

আমাদের সদিচ্ছার কথাই আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেছেন। যারা নির্বাচনই চায় না, যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের কাছে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য এতো শ্রুতিমধুর হবে না, এটি খুবই স্বাভাবিক।’ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকার নির্বাচনে আসতে বিএনপিকে প্রলোভন দেখাচ্ছে’- এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন বিএনপিকে প্রলোভন দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’ হাছান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও, বিএনপির নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এটি মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা দেখতে পারবেন।’
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।