• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:৪১

ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ বাড়লো

দেশকন্ঠ ডেস্ক : আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ বেড়েছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, মামলার প্রধান আসামি ইমরান খান আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত জামিনে থাকবেন। এর আগে গত ১২ মে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে দু’সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের সেই আদেশ অনুযায়ী এ মামলার প্রধান আসামি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ ছিল ২৬ মে পর্যন্ত। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খানের পক্ষে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর পিটিশনটি জমা দেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার গওহর। বুধবার সেই পিটিশনের ওপর শুনানি হয়। শুনানিতে পরক্ষোভাবে পিটিশনকে সমর্থন করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাকিস্তানের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুনাওয়ার দুগাল এবং ইসলামাবাদের অ্যাডভোকেট জেনারেল জাহাঙ্গীর জাদুন জানান, আলোচিত এই মামলা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে আরও সময় প্রয়োজন রাষ্ট্রপক্ষের।
 
শুনানি শেষে বিচারপতি মিঞাগুল হাসান আওরঙ্গজেব আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দু’টি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে এসে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী ও আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো’র (ন্যাব) একটি যৌথ দল আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট ভবন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। যে পরোয়ানার ভিত্তিতে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেটি ন্যাব ইস্যু করেছিল গত ১ মে। ন্যাবের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজির আহমেদ বাট স্বাক্ষরিত সেই পরোয়ানা অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সোহাওয়া শহরে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের নামে ব্রিটেনের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে রাষ্ঠীয় কোষাগার থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার দিয়েছিলেন ইমরান খান, তার বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবি এবং ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের কয়েকজন জেষ্ঠ্য নেতা।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকেও ইমরান ও বুশরা বিবি অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় পরোয়ানায়। এদিকে ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর পরই তার আইনজীবীরা এই গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় সেই পিটিশনকে নাকচ করে দিয়ে গ্রেপ্তারকে ‘বৈধ’ বলে ঘোষণা করেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এই ঘোষণার পর নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু হয় পাকিস্তানে। পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে সরকারি ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা ও সেনানিবাসে হামলা চালান। পরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মধ্যে গত সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১২ মে ইমরান খানকে এই মামলায় দু’সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।