• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:২৪

এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দেশকন্ঠ ডেস্ক : টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয় পর্যালোচনা শীর্ষক এক কর্মশালা আজ বৃহস্পতিবার বিজেআরআই এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি অনুবিভাগ) মো. রুহুল আমিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পিপিবি অধিশাখা) মোসাম্মাৎ জোহরা খাতুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, জিডিপিতে পাটের অবদান শতকরা ১ দশমিক ৪ ভাগ এবং কৃষিতে ২৬ ভাগ অর্থাৎ মোট জিডিপিতে পাটের অবদান ৮ বিলিয়নের মতো। আবার ৮ বিলিয়নের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন আমরা রপ্তানি করি। তবে পাটের রপ্তানি টু জিডিপি অনুপাত অন্য যে কোনো সেক্টরের থেকে বেশি। তিনি পাটের উৎপাদনশীলতাকে দ্বিগুণ করার আহবান জানিয়ে বলেন, স্ব-স্ব ইনস্টিটিউটকে তাদের পণ্যের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, “উৎপাদনশীলতা বাড়লে ইউনিট প্রতি খরচ কমবে, ইউনিট প্রতি খরচ কমলে লভ্যাংশের অনুপাত বাড়বে, আর লভ্যাংশের অনুপাত বাড়লে আয় বাড়বে, ফলে দারিদ্রতা কমবে। একই সাথে জীবন যাত্রার মান বাড়বে, ক্ষুধার্ততা কমবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা বাড়বে। এভাবে চক্রাকারে একটির সাথে আর একটি জড়িত এবং সামগ্রিভাবে দেশের উন্নতি হবে।”

এসডিজি’র ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতায় অবদান রাখার কথা উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে, টেকসই কৃষিতে অবদান রাখতে হবে। এক হেক্টর জমিতে ১০০ দিনের পাট বায়ুমন্ডল থেকে ১৫ টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং ১১ টন অক্সিজেন ত্যাগ করে, যা একটি পরিবেশ বান্ধব ফসল। বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পাট শাক চাষ করে পরিবারের পু্ষ্িটর নিশ্চয়তা প্রদান করা যেতে পারে।সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. আবদুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশ সরকার খুবই সফলতার সাথে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) সম্পন্ন করছে। এসডিজি-তেও সফলতার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।“পাটের একটি সমস্যা হলো বীজের সমস্যা। পাটের জমিতে যদি পাট বীজ উৎপাদন করা হতো তবে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব’’-উল্লেখ করে আবদুল আউয়াল বলেন, আমরা কেনাফ বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছি, বিজেআরআই এর সহায়তায় কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নে কেনাফ বীজ উৎপাদন সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে। এতে মোট বীজ উৎপাদনকারী কৃষক বা কৃষানীর সংখ্যা প্রায় ৬১২ জন।কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও অর্থ উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. এস এম মাহবুব আলী এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (নীতি-৩ শাখা) মোহাম্মদ ইয়ামিন খান।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।