• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:১৯

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির আগমনে চাকরি হারাবেন যারা

দেশকন্ঠ ডেস্ক : আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বে চাকরির বাজারে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে যাবে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এক সমীক্ষায় বলেছে, এ সময়ে বিশ্বের ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ চাকরি হারাবেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব কাজ চালাবে বলে এ আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করে এআই প্রযুক্তি চালুর দিকেই যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন বা আইবিএম সেই পথেই হাঁটছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। আগামী কয়েক বছরে ৭ হাজার ৮০০ কর্মী ছাঁটাই করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন আইবিএমের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অরবিন্দ কৃষ্ণা।

আবার এর ইতিবাচক দিকও আছে। এআই আসার কারণে অনেক নতুন নতুন চাকরির ক্ষেত্রে তৈরি হবে। আবার কিছু নিরাপদ চাকরি আছে, যেখানে এআই তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকস গত মার্চ মাসের প্রতিবেদনে বলেছে, কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম এআই বর্তমানে মানুষের দ্বারা করা সব কাজের এক-চতুর্থাংশ করতে পারে। অটোমেশনের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ কোটি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন।

‘রুল অব দ্য রোবোটস: হাউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উইল ট্রান্সফরম এভরিথিং’ বইয়ের লেখক ও মার্কিন ফিউচারিস্ট মার্টিন ফোর্ড বলেছেন, এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘এটি শুধু যে ব্যক্তি পর্যায়ে ঘটবে, তা নয়, তবে এটি বেশ পদ্ধতিগতভাবে হতে পারে। এটি হঠাৎ একই সময়ে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে ঘটতে পারে। আর এর প্রভাব শুধু সেই ব্যক্তি নয়, পুরো অর্থনীতিতেই পড়বে।’

তবে এত খারাপ খবরের মধ্যে ভালো খবরও আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু বিষয়ে আছে, যা এআই করতে সক্ষম নয়। স্বতন্ত্রভাবে মানবিক গুণাবলি জড়িত, যেমন আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা ও প্রথার বাইরে গিয়ে ভিন্ন ভাবনা ভাবার মতো কাজগুলো এআইয়ের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই আপাতত এসব কাজের কর্মীদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা নেই।

এ বিষয়ে মার্টিন ফোর্ড বলেছেন, ‘আমার ধারণা, সাধারণত তিন ক্যাটাগরির কাজের ভবিষ্যৎ এখনো আছে। এর প্রথমটি হলো এমন চাকরি, যা প্রকৃতপক্ষে সৃজনশীল কাজ, যা ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ নয় বা কেবল কিছু বিষয়কে পুনর্বিন্যাস করা নয়; বরং সত্যিকারের নতুন ধারণা নিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার কাজ।’

ফোর্ড বলেন, তবে এর অর্থ এই নয় যে ‘সৃজনশীল’ হিসেবে বিবেচিত সব কাজই নিরাপদ। যেমন গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিজ্যুয়াল আর্ট-সম্পর্কিত কাজগুলো প্রথমে এআইয়ের কাছে চলে যেতে পারে। মৌলিক অ্যালগরিদম লাখো ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য একটি বটকে নির্দেশ করতে পারে, যা এআইকে তাত্ক্ষণিকভাবে ওই ছবি নান্দনিক করতে দেয়। তবে অন্য সৃজনশীল কাজে কিছু নিরাপত্তা আছে, যেমন বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও আইন। এসব কাজে একটি নতুন আইনি কৌশল বা ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে আসা যায়। এসব কাজে মানুষের জন্য একটি পোক্ত জায়গা হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন ফোর্ড।

ঝুঁকিপূর্ণ নয়, নিরাপদ ও ভবিষ্যৎ আছে, এমন দ্বিতীয় ক্যাটাগরির কাজ হিসেবে পরিশীলিত আন্তব্যক্তিক সম্পর্ক নিয়ে কাজের কথা বলেছেন ফোর্ড। এসব কাজের মধ্যে আছে-নার্স, ব্যবসায়িক পরামর্শক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। তিনি বলেছেন, ‘এসব কাজে মানুষকে খুব গভীরভাবে বোঝার প্রয়োজন হয়। এসব চাকরি দখলে নিতে গেলে আমার মনে হয়, সত্যি সত্যি সম্পর্ক তৈরি করতে পারে এমন যোগাযোগ করার ক্ষমতা থাকতে হবে এআইয়ের।’

অনুমান করা যায় না এমন পরিবেশে ব্যাপক গতিশীলতা, দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতার প্রয়োজন আছে-এমন কাজকে তৃতীয় নিরাপদ ক্যাটাগরির কাজ বলেছেন ফোর্ড। কারিগরি কাজগুলো, যেমন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ, প্লাম্বারের কাজ ও ওয়েল্ডারের কাজগুলো এর আওতায় পড়ে।

ফোর্ড বলেন, ‘এ ধরনের চাকরিতে সব সময় একটি নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। এ ধরনের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করানোর জন্য একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনিভিত্তিক রোবট প্রয়োজন হবে। প্রয়োজন হতে পারে স্টার ওয়ার্স এর সি-৩পিও।’
এসব চাকরিতে কর্মী হিসেবে মানুষই কাজ করে যাবে। তবে এর অর্থ এই নয় যে এসব কাজ একেবারেই এআই করতে পারবে না। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব বাফালোর লেবার ইকোনমিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোয়ান সং ম্যাকলাফলিন বলেছেন, শিল্প নির্বিশেষে বেশির ভাগ চাকরিরই এমন দিক আছে, যা প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যেতে পারে।

জোয়ান সং ম্যাকলাফলিন বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, চাকরির জন্য তাত্ক্ষণিক কোনো হুমকি নেই। তবে কাজগুলো পরিবর্তন হয়ে যাবে। মানুষের কাজ আরও বেশি আন্তব্যক্তিক দক্ষতাকেন্দ্রিক হয়ে যাবে। এটা কল্পনা করা সহজ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এআই মানুষের চেয়ে ভালোভাবে ক্যানসার শনাক্ত করবে। আমার ধারণা, ভবিষ্যতে চিকিত্সকেরা এমন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন। তবে চিকিত্সকদের পুরো ভূমিকা এআই নিয়ে নেবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।’ তিনি আরও বলেন, যদিও রোবটের নির্ভুলভাবে ক্যানসার শনাক্ত করার সম্ভাবনা থাকবে, তারপরও অধিকাংশ মানুষ রোগ সম্পর্কে একজন ব্যক্তি চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন। এটা প্রায় সব কাজের ক্ষেত্রেই সত্য। এ কারণে স্বতন্ত্রভাবে মানবিক দক্ষতা বিকাশ করে মানুষকে এআইয়ের পাশাপাশি কাজ করে যেতে হবে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ফিউচার অব জব রিপোর্ট ২০২৩ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ, ডেটা-বিশ্লেষক, বিজ্ঞানী, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্পেশালিস্ট ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ অনেক বেড়ে যাবে। ডব্লিউইএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে; ডেটা-বিশ্লেষক, বিজ্ঞানী বা বিগ ডেটা অ্যানালিস্টের সংখ্যা বাড়বে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ এবং ইরফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের সংখ্যা ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ সময়ের মধ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অর্থাত্ এসব চাকরি নিরাপদ স্তরে আছে। তবে রেকর্ড-কিপিং ও প্রশাসনিক পদের চাকরি হুমকির মুখে আছে।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে শ্রমবাজার অনেক কিছুই প্রভাবিত করবে। নতুন চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবস্থা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে থাকবে এবং এর সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিও উচ্চতর হতে শুরু করবে। এতে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়োগ করতে হবে। এতে একদিকে যেমন ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে, তেমনই নেতিবাচক ভূমিকাও রাখবে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পরিচালিত করার জন্য নতুন ধরনের দক্ষ কর্মীও লাগবে।

এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের কী কী দক্ষতা প্রয়োজন, তা পুনর্বিবেচনা করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ‘দক্ষভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষমতা’কে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

আগামী পাঁচ বছরে দ্রুত বেড়ে যাওয়া ১০ চাকরির মধ্যে আছে-

১. এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ ২. সাসটেইনেবিলিটি স্পেশালিস্ট ৩. বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অ্যানালিস্ট ৪. ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট ৫. ফিনটেক ইঞ্জিনিয়ার ৬. ডেটা অ্যানালিস্ট ও বিজ্ঞানী ৭. রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ার ৮. ইলেকট্রোটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার ৯. অ্যাগ্রিকালচারাল ইকুইপমেন্ট অপারেটর ১০. ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্পেশালিস্ট

আগামী পাঁচ বছরে দ্রুত হারিয়ে যাওয়া ১০ চাকরির মধ্যে আছে—

১. ব্যাংক টেলারস অ্যান্ড রিলেটেড ক্লার্কস ২. পোস্টাল সার্ভিস ক্লার্কস ৩. ক্যাশিয়ারস অ্যান্ড টিকিট ক্লার্কস ৪. ডেটা এন্ট্রি ক্লার্কস ৫. অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারিস ৬. ম্যাটেরিয়াল-রেকর্ডিং অ্যান্ড স্টক-কিপিং ক্লার্কস ৭. অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং অ্যান্ড পে-রোল ক্লার্কস ৮. লেজিসলেটরস অ্যান্ড অফিশিয়ালস  ৯. স্ট্যাটিসটিক্যাল, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স ক্লার্কস ১০. ডোর-টু-ডোর সেলস ওয়ার্কারস, নিউজ অ্যান্ড স্ট্রিট ভেন্ডরস।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।