- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। তিনি বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্য পূরণে শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই দরকার ডিজিটাল কনটেন্টসহ ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ। মন্ত্রী বলেন, দেশে শিক্ষার অবকাঠামোগত যে পরিবর্তন হয়েছে, শিক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন ঘটিয়ে ডিজিটাল সংযুক্তি প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার দপ্তর থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান, সেভ দ্য চিলড্রেন ও ফ্রেন্ডশীপ’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘শিখন অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।স্মার্ট মানুষ তৈরির জন্য প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার প্রতিটি স্তরে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ডিজিটাল কনটেন্টসহ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষা গ্রহণের দিন শেষ।
তিনি বলেন, এজন্য বর্তমান সরকার মিশ্র শিক্ষা পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার রূপান্তরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। বেসরকারি সংস্থা ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’র কাউন্সিলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যারোমা দত্তের সভাপতিত্বে এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযান’র নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ ফরহাদুল ইসলাম, বাংলাদেশে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’র কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভান ম্যানেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যামিরেটাস ও এডুকেশন ওয়াচ’র মূখ্য গবেষক ড.মনজুর আহমেদ, ফ্রেন্ডশিপ’র সিনিয়র ডিরেক্টর ও শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ইলিয়াস ইফতেখার রসুল, জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা শিক্ষা অফিসার মমতাজ বেগমসহ কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
কর্মসূচির পরিচিতি, অর্জন ও সম্ভাবনা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’র এম্পাওয়ারিং গার্লস থ্রু এডুকেশন (ইজিই) কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক শাহিন ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট’র সহযোগী অধ্যাপক ড. হ্যাপী কুমার দাশ।কনটেন্ট এবং ডিজিটাল ডিভাইস চালু করতে পারলে জাতি অনেক বেশি সুফল পাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি’রর সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮টি পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল যন্ত্রে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠদান কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষক সংগঠন, প্রকল্পের কর্ম এলাকার স্কুল শিক্ষক, অভিভাবক, গণসাক্ষরতা অভিযান’র কাউন্সিল (বোর্ড) মেম্বার, ফ্রেন্ডশীপ, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশি-বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা