দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আর্ন্তজাতিকভাবে আলোচিত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর দৃষ্টিনন্দন ঝাউতলা সড়কটি। বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা সেলফি তোলার জন্য আসছেন এই দৃষ্টিনন্দন জায়গায়। আর দেশ বিদেশের মিডিয়ায় পটুয়াখালীর উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় গর্বিত জেলার বাসিন্দারা। এই জেলা শহরের পুরনো পরিত্যক্ত খালের খনন শেষে গাছ লাগিয়ে ওয়াকওয়ে করায় সৌন্দর্য যেন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌর নগরীতে ঢুকতেই চোখে পড়ে ফোর লেন। দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, শিক্ষার্থীদের চলাচল ও বাইসাইকেল ব্যবহারের জন্য রয়েছে সাইকেল লেন। পায়ে হাঁটা, প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য রয়েছে ওয়াক ওয়ে জোন এবং বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসার বেঞ্চ। আধুনিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। শহরে গড়ে উঠেছে বহুতল দালান-কোঠা, বাহারি কারুকার্য খচিত ঘরবাড়ি। সড়কের মাঝখানে সবুজের সমাহার।
এছাড়া পুরো পৌর শহর নিয়ে আসা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। নির্মল বাতাস, অক্সিজেন এবং ধুলোবালি মুক্ত রাখার জন্য সড়কের মাঝখানে এবং ফুটপাতে লাগানো হয়েছে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। রাতের চলাচলে সড়কের মাঝখানে এবং ফুটপাতে পর্যাপ্ত আলোর জন্য করা হয়েছে সিংগাপুরের আদলে লাইটিং। এ যেন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য। গত চার বছরে এ জেলা শহরের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পটুয়াখালী পৌরসভা নির্মিত হয় ১৮৯২ সালে। ৩০ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে এই শহর। বর্তমানে এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে ১ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে।
দেশকন্ঠ/অআ