দেশকণ্ঠ ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে অদ্ভুত এক প্রাণি। তা দেখে সাধারণ মানুষ, এমনকি প্রাণি বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত হতবাক। এমন প্রাণি এর আগে কখনো কোথাও দেখা যায়নি। শুধু শোনা গেছে কল্পবিজ্ঞানের গল্পে। তবে এবার কল্পবিজ্ঞান নয়, বাস্তবে সৈকতে বিপুল পরিমাণে এই আজব প্রাণিটি দেখা যাচ্ছে। একে দেখে অনেকেই এলিয়েন বলে আখ্যায়িত করছেন। প্রাণিটির দেহ থলথলে। পুরো শরীর স্বচ্ছ। দেহে কোনো শক্ত আস্তরণ নেই। শরীরের অন্যপ্রান্তে লাল বাল্বের মতো।
স্বচ্ছ এবং অনেকটা সিলিন্ডারের আকৃতির এই প্রাণিকে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এর কোনো পরিচয় বের করতে পারছেন না। এর আরও একটি বৈশিষ্ট হলো, নিজে নিজেই ক্লোন করে সংখ্যা বিস্তার করতে পারে। তাসমানিয়ার অধিবাসী জুলি প্রথমে উদ্ভট এই প্রাণিটির সন্ধান পান। তিনি ২৮শে মে স্থানীয় সমুদ্র সৈকতে হাঁটছিলেন। সেখানেই তার চোখে প্রথম ধরা পড়ে এই প্রাণি। তিনি এর ছবি নিয়ে ফিল্ড ন্যাচারালিস্টস অব তাসমানিয়া ফেসবুক গ্রুপের কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য তারা এই প্রাণিটিকে চিনতে পারেন কিনা। অপেক্ষায় থাকেন তাদের কাছ থেকে উত্তর পাওয়ার আশায়।
যদিও এই প্রাণিটিকে কিছুটা জেলিফিশের মতো মনে হয়, তবু অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম বলেছে এটা হতে পারে সামুদ্রিক স্যাল্প। যা খুব বেশি স্তন্যপায়ী মানুষের মতো। প্রাণিটির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তারা দ্রুততার সঙ্গে বহুকোষীয় অন্য একটি প্রাণিতে বিভক্ত হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে তারা কয়েক শত ক্লোন তৈরি করতে পারে। প্রতিটি ক্লোন পূর্ণাঙ্গতা পেতে সময় নেয় ৪৮ ঘন্টা।
দেশকন্ঠ/রাসু