• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২২

প্রস্তাবিত বাজেট গ্রামীণবান্ধব : পরিকল্পনামন্ত্রী

দেশকন্ঠ ডেস্ক : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সার্বিকভাবে গ্রামীণবান্ধব হয়েছে। গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতার সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষিখাতে উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে বাজেট পরবর্তী এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এমসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পিআরআই ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই পরিচালক আদিব এইচ খান, এমসিসিআই সাবেক সভাপতি আনিস উদ দৌলা, আইসিএবির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন প্রমুখ আলোচনায় আংশ নেন।অনুষ্ঠানে পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার ‘বাজেট ২০২৩-২৪ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত’  বিষয়ক বিশ্লেষণধর্মী একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

এম এ মান্নান বলেন, কোভিড মহামারি মোকাবিলায় আমরা সারাবিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছি। এবারের বাজেট যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন আমরা একটা খারাপ সময় পার করছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পর্যায়ে খাদ্য সরবরাহে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যুদ্ধের কারণে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক সরবরাহ কাঠামো স্থিতিশীলতা হারিয়েছে। এমন সময়ে বাজেট দেওয়া কঠিন কাজ। আমরা  চেষ্টা করছি কিভাবে মানুষকে স্বস্তিতে রাখা যায়।তিনি বলেন, শস্য বা ধান উৎপাদন যায় বলুন, সার্বিক বিবেচনায় গ্রাম এখনও আমাদের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে। তাই গ্রামীণ অর্থনীতিকে কিভাবে চাঙ্গা রাখা যায়, সেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘আমার ব্যক্তিগত মত হলো বাজার সম্পূর্ণভাবে মসৃণ রাখতে হবে। কোন হস্তক্ষেপ সেখানে থাকবে না। তবে মোদ্দা কথা হলো, সরবরাহ শক্তিশালী করা ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’আয়কর খাতে রাজস্ব আয় বাড়াতে আগামী অর্থবছরে ট্যাক্স রিটার্ণ প্রিপেয়ার বা টিআরপি এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি এজেন্ট আয়কর বিবরণী প্রস্তুত ও জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে করদাতাদের সহযোহিতা করবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এটি প্রোগ্রেসিভ ব্যবস্থা। যাকে-তাকে টিআরপি এজেন্ট দেওয়া যাবে না। সাবধানে এটি পরিচালনা করতে হবে।’ তিনি মনে করেন, সারাদেশে একবারে টিআরপি নিয়োগ না দিয়ে প্রথমবছর পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিটি বিভাগে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।  

কৃষি, শিল্প ও রেমিটেন্স-এই তিন খাতের উপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি এখন উড্ডীয়ন অবস্থায় রয়েছে, তাই সরকার কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সার, বীজসহ অন্যান্য উপকরণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করেছে। আয়কর যোগ্য নয়, এমন টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে ২০০০ টাকা কর জমাদানের প্রস্তাবের সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদ ড. সাদিক আহমেদ ও আদিব এইচ খান। তারা উভয়েই বলেন, করযোগ্য নয়, এমন ব্যাক্তিদের নিকট থেকে ২০০০ টাকা আদায় করা নৈতিকভাবে ঠিক নয়। আলোচকরা বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।