• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২২

সংকেতের সমস্যায় ওড়িশায় তিন ট্রেন দুর্ঘটনা

  • জাতীয়       
  • ০৪ জুন, ২০২৩       
  • ২৪
  •       
  • ০৪-০৬-২০২৩, ০৯:৩৪:২৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‌ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবারের এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসাবে সংকেতের বিভ্রান্তিকে চিহ্নিত করেছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তদন্তকারী দল। দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভুলবশত বালাসোরের বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের লুপ লাইনে (বাড়তি লাইনে) প্রবেশ করেছিল বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। লুপ লাইনের ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে আঘাত হানে সেটি। এরমাঝেই তৎসংলগ্ন লাইনে আসে বেঙ্গালুরু-হাওরা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি। করমন্ডল এক্সপ্রেসের আঘাতে মালবাহী ট্রেনের উল্টে যাওয়া বগি লাইনের মাঝে পড়ে থাকায় বেঙ্গালুরু-হাওরা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটিও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। 
 
তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলেছে, করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। আর বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় ১১৬ কিলোমিটার। এই দুই ট্রেনে প্রায় দুই হাজার যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়া তৃতীয় মালবাহী ট্রেনটি সেখানে আগে থেকেই স্থির দাঁড়িয়ে ছিল। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান লাইনে সবুজ সংকেত দেওয়া হলেও করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেই লাইনে প্রবেশ করেনি। ট্রেনটি ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। এই ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে করমন্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। প্রাথমিক এই তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ‘এর মাঝে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।’
 
প্রধান লাইনে সবুজ সংকেত পাওয়া সত্ত্বেও করমন্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছে, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে কামরা ছিল মোট ২৩টি। সংঘর্ষের কারণে এই ট্রেনের অন্তত ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। দেশটির রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ভারতের রেলওয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনারের তত্ত্বাবধানে বিস্তারিত তদন্ত হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বালাসোরের বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের কাছের এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। ভারতের গত ২০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৮০৩ জন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।