- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ ডেস্ক : দিনে দিনে বাড়ছে আলোক দূষণ। ফলে চোখের আড়ালে চলে গেছে ছায়াপথ। হারিয়ে যাচ্ছে আকাশের তারা। গবেষকরা জানান, এভাবে দূষণ চলতে থাকলে ২০ বছরের মধ্যেই রাতের আকাশে আর তারার দেখা মিলবে না। আলোক দূষণ পাল্টে দিচ্ছে মানুষসহ প্রাণীজগতের জীবনধারাও। ঘুমে ব্যাঘাতের পাশাপাশি বাড়ছে স্থুলতা ও ডায়াবেটিস। পাখি হারাচ্ছে পথ, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কচ্ছপের প্রজনন।
জ্যোৎস্নামাখা রাতের আকাশে প্রেমিকাকে ভালোবাসার বার্তা পাঠানোর এমন সুযোগ একসময় আর থাকবে না। বিলীন হচ্ছে তারাভরা সেইসব রাত। আধুনিক সভ্যতার অভিশাপ- তারাহীন রাতের মূলে আলোক দূষণ বা পৃথিবীর বুকে মাত্রাতিরিক্ত কৃত্রিম আলোর উপস্থিতি।সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আলো নিঃসরণকারী ডায়োড- এলইডির ব্যবহার, রাস্তা-ভবন-অফিস, বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অলোকসজ্জা ও সীমাহীন বাহ্যিক আলোর ব্যবহার রাতের আকাশকে উজ্জ্বল করছে।
গবেষণা বলছে, দূষণের কারণে ২০১৬ সাল থেকে পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ মানুষ খালি চোখে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ দেখতে পাচ্ছে না। প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে উজ্জ্বল হচ্ছে রাতের আকাশ। জার্মানির আইফেল জাতীয় পার্কে স্বাভাবিক রাতে যেখানে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার তারা দেখা যেতো, এখন সেখানে বড়জোর ১৮শ’ তারার দেখা মেলে। গবেষকরা জানান, এভাবে দূষণ চললে একসময় সবচে উজ্জ্বল নক্ষত্রও দৃষ্টির আড়ালে চলে যাবে।
আলো দূষণে শুধু তারারাই অদৃশ্য হচ্ছে না, মানুষসহ উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। নীল আলোর এলইডি লাইটে মানুষের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ কমে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। বাড়ে ডায়াবেটিস ও স্থুলতা। কৃত্রিম আলোয় দিকভ্রান্ত পাখিরা। গবেষণা বলছে, আলোর প্রভাবে উত্তর আমেরিকায় প্রায় ২শ’ প্রজাতির পাখি পথ পরিবর্তন করেছে। আলোকিত সাগর তীরে বাধাগ্রস্ত হয় কচ্ছপের প্রজনন।এ অবস্থায় আলো দূষণ কমাতে কমিটি তৈরি করে অপ্রয়োজনীয় আলোর ব্যবহার কমানো, স্মার্ট আলোর ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন গবেষকরা।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা