- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ ডেস্ক : বিশ্ব বাজারে খাদ্য ও সার সরবরাহের লক্ষে গত বছরের জুলাই মাসে ইস্তাম্বুলে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি রাশিয়ার প্রতিনিধি দল ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা শুক্রবার জেনেভায় আরেক দফা আলোচনা শুরু করেছে। রুশ ও জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা তাস’কে এ কথা জানান।রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন এবং জাতিসংঘের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান।
জেনেভায় রাশিয়ার স্থায়ী কার্যালয় ও আঙ্কটাডের এক মুখপাত্র তাস’কে জানান, বৈঠক চলছে। তবে জেনেভায় বৈঠকের নির্দিষ্ট স্থান ও এর বিস্তারিত এজেন্ডা প্রকাশ করেনি। আঙ্কটাডের মুখপাত্র বলেন, ‘আলোচনা পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। তবে, এই মুহূর্তে আর কিছু বলার নেই।’অ্যামোনিয়া পাইপলাইন বিস্ফোরণ: টগলিয়াত্তি-ওডেসা অ্যামোনিয়া পাইপলাইনে বিস্ফোরণ বর্তমান আলোচনাকে ত্বরান্বিত করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীরা ৫ জুন সন্ধ্যায় খারকভ অঞ্চলে টগলিয়াত্তি-ওডেসা অ্যামোনিয়া পাইপলাইনের একটি অংশ বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, মস্কো ঘটনার তদন্তে কোনো প্রকার ছাড় দিবে না, তবে এটা স্পষ্ট যে কিয়েভ কখনোই পাইপলাইনের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী ছিল না।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, পাইপলাইনে হামলা শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোকে কঠিন করে তুলবে। তিনি বলেন, পাইপলাইন বিষ্ফোরণে কতটা ক্ষতি হয়েছে এবং কিয়েভ পরবর্তীতে আর কী করার পরিকল্পনা করেছে তা রাশিয়া জানে না। মুখপাত্র বলেন, পাইপলাইনের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা শস্য চুক্তির একটি ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ এবং বিষয়টি রাশিয়ার সাথে সম্পর্কিত।
শস্য চুক্তি:
খাদ্য ও সার রপ্তানির চুক্তি ২০২২ সালের ২২ জুলাই ইস্তাম্বুলে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি মূলত ১২০ দিনের জন্য করা হয়েছিল এবং গত নভেম্বরে আরও ১২০ দিনের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। রাশিয়া ১৮ মার্চ ঘোষণা করে, চুক্তিটি আরও ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে এবং সতর্ক করে যে বর্ধিত সময় জাতিসংঘের সাথে স্বাক্ষরিত সমঝোতা বাস্তবায়নের মূল্যায়ন করার জন্য যথেষ্ট সময় হবে।
১০-১১ মে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়া, তুরস্ক, ইউক্রেন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর ভার্শিনিন বলেন, মস্কো যদি ১৮ মে’র মধ্যে কৃষি পণ্য এবং সার রপ্তানির জন্য রোসেলখোজব্যাঙ্ক থেকে সুইফট এবং অন্য কিছুর সাথে পুনরায় সংযোগ করায় তার দাবি গুলোকে সম্মানের সাথে পূরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত না হলে শস্য চুক্তিটি বাতিল করা হবে। ১৭ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান জানান, ১৮ মে থেকে শস্য চুক্তিটি দুই মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তিনি রাশিয়া, ইউক্রেন এবং জাতিসংঘকে তাদের গঠনমূলক পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানান।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা