• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২১

সুদানের নৃশংস যুদ্ধে রেহাই পাচ্ছে না বেসামরিক নাগরিকরা

দেশকন্ঠ ডেস্ক : সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলি বুধবার সুদানের এল ওবেইদ নগরীতে বোমাবর্ষণ করেছে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই  দেশটিকে দুই মাস ধরে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা। গত ১৫ এপ্রিল  থেকে আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের  নেতৃত্বের নিয়মিত  সেনাবাহিনী এবং তার প্রতিপক্ষ সাবেক  ডেপুটি  মোহাম্মদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যেকার এই শহুরে যুদ্ধে রাজধানী খার্তুমের পার্শ্ববর্তী গোটা এলাকা কার্যত: অচেনা  হয়ে গেছে।

 গত মাসের  বেসরকারি উপাত্ত সংগ্রহকারি সংস্থা- আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এন্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের (এসিএলইডি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, যুদ্ধ দ্রুত প্রদেশগুলিতে, বিশেষ করে দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় কমপক্ষে ১,৮০০ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, নিয়মিত সেনাবাহিনী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, বুধবার প্রথমবারের মতো আরএসএফ বেষ্টিত উত্তর কর্ডোফান রাজ্যের রাজধানী এল ওবেইদে বিমান হামলা চালায়। এদিকে আরেক উত্তেজনায়,  দারফুেরর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের গভর্নরকে হত্যা করা হলে, সেনাবাহিনী আরএসএফকে অভিযুক্ত করে এ হত্যাকে ‘নিষ্ঠুর কাজ’ বলে অভিহিত করেছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মতে, সারা দেশের প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে গেছে। বাস্তুহারাদের মধ্যে ১০ লাখের বেশি পালিয়েছে খার্তুম  থেকে । জাতিসংঘ সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, তাদের মধ্যে ৫ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি প্রতিবেশী  দেশগুলিতে আশ্রয় চেয়েছে। খার্তুমের বাসিন্দা আহমেদ ত্বহা এএফপিকে বলেছেন, যারা রয়ে গেছে-  তাদের খাবার, পানি ও ওষুধ ফুরিয়ে গেছে। উভয় পক্ষের স্পষ্ট লঙ্ঘনের মুখে একাধিক যুদ্ধবিরতি  ভেঙে যাওয়ার পরে, মার্কিন ও  সৌদি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে।

সাহায্য সংস্থাগুলি নিরাপদ মানবিক সাহায্যের করিডোর খোলার জন্য অনুমতি চাইলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। খার্তুমের গোটা এলাকা জুড়েই পানির লাইনে পানি নেই,  সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ থাকে এবং যুদ্ধাঞ্চলের বেশিরভাগ হাসপাতাল অচল হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের মতে,  জনসংখ্যার অর্ধেকেরও  বেশি আড়াই কোটি মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় তহবিলের একটি ভগ্নাংশ  পেয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থা। বিপজ্জনক পরিস্থিতি ও অন্যান্য বাধা সত্ত্বেও, জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে,  ১৮ লাখ মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছেছে, যা এখনও তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্যের একটি ভগ্নাংশ। খার্তুমের বাসিন্দা সোহা আবদুল রহমান বলেন, ‘দুই মাস ধরে আমরা এই যুদ্ধের যন্ত্রণা ভোগ করছি এবং কষ্ট পাচ্ছি।’
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।