• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:২৭

গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মানবভ্রূণ চমক বিজ্ঞানীদের

দেশকণ্ঠ ডেস্ক : শুক্রাণু কিংবা ডিম্বাণুর প্রয়োজন নেই। জননকোষ ছাড়াই ভ্রূণের জন্ম! ঠিক এমনটাই ঘটেছে। স্টেম কোষের সাহায্যে কৃত্রিমমানবভ্রূণ তৈরি করেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালটেকের বিজ্ঞানীরা। তবে গবেষণাগারে তৈরি এই ভ্রূণ আধুনিক ভ্রূণের মতো উন্নত নয়। বরং মানব বিবর্তনেরগোড়ার সময়ের সঙ্গে এর মিল রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের আশা, এই পথ অনুসরণ করেই জটিলতম সমস্যার সহজ উত্তর পাওয়া যেতে পারে। জিনগত অসুখ, সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে গর্ভপাত, এ ধরনের সমস্যার সমাধান মিলবে। 
 
গবেষণাগারে ভ্রূণ নিয়ে কাজ করার আইনি অনুমতি ১৪ দিন পর্যন্ত। এর পরে ভ্রূণের বিকাশ সম্পর্কে জানতে হলে গর্ভাবস্থার স্ক্যান রিপোর্ট কিংবা কারও দান করা ভ্রূণ পরীক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। গবেষণাগারে তৈরি এই ভ্রূণ যদিও আধুনিক ভ্রূণের মতো উন্নত নয়। তবে ‘কৃত্রিম মানবভ্রূণ তৈরি’ বিষয়টিই বিতর্কিত। নৈতিক ও আইনি প্রশ্ন রয়েছে। বেশির ভাগ দেশেই এই ধরনের গবেষণার আইনি স্বীকৃতি নেই। স্টেমকোষ থেকে ভ্রূণ তৈরির এই ধাপে মায়ের গর্ভের হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানি নেই, একটু একটু করে মস্তিষ্ক তৈরি হওয়া নেই। বরং কোষ থেকে একে একে প্লাসেন্টা, ইয়ক স্যাক, এমব্রায়ো বা ভ্রূণ তৈরি হওয়া। গবেষণাপত্রটি এখনও কোনও জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। তবে তার আগেই বস্টনে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর স্টেম সেল রিসার্চ’-এর বার্ষিক সম্মেলনে হইচই ফেলে দিয়েছে এই গবেষণা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ম্যাগডালেনা জারনিকা-গোয়েৎজ বলেন, ‘‘স্টেম কোষকে রিপ্রোগ্রাম করে আমরা মানব ভ্রূণের মডেল তৈরি করতে পেরেছি।’’ যদিওএই মুহূর্তে গবেষণাগারের বাইরে কৃত্রিম ভ্রূণ তৈরির কোনও সম্ভাবনা নেই। সবটাই পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। কৃত্রিম উপায়ে তৈরি ভ্রূণ মানবশরীরে প্রতিস্থাপন করা অবৈধ কাজ। তা ছাড়া গর্ভাবস্থার প্রাথমিক ধাপগুলো সফল ভাবে পেরোলেও তার পর সেই কৃত্রিম ভ্রূণ পরিণতি পাবে কি না, তা জানা নেই।
 
গবেষণাগারে ভ্রূণ নিয়ে কাজ করার আইনি অনুমতি ১৪ দিন পর্যন্ত। এর পরে ভ্রূণের বিকাশ সম্পর্কে জানতে হলে গর্ভাবস্থার স্ক্যান রিপোর্ট কিংবা কারও দান করা ভ্রূণ পরীক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। মানব জীবনের এই অধ্যায় এক প্রকার ‘ব্ল্যাক বক্স’ হয়ে রয়েছে। অন্ধকারে আলো ফেলতে নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে। লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউট-এর ‘স্টেম সেল বায়োলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল জেনেটিকস’ বিভাগের প্রধান রবিন লোভেল-বেজ বলেন, ‘‘গবেষণাগারে স্টেম কোষ থেকে মানবভ্রূণ তৈরির কারণ, এই পদ্ধতিতে জীবনের প্রথম ধাপ সম্পর্কে চমকে যাওয়ার মতো বহু অজানা তথ্য জানা সম্ভব।’’
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।