• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৮

চ্যালেঞ্জিং বাজেট বাস্তবায়নে গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প নেই

দেশকন্ঠ ডেস্ক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সচরাচর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয় তার তুলনায় অনেক বেশি রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মূল্যস্ফীত ৬ শতাংশে ধরে রাখার যে লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে সেটি বাস্তবায়নও বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা মার্কিন  ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন আর অভ্যন্তরীণ ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার ফলেও মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকতে পারে।  তাই চ্যালেঞ্জিং এই বাজেট বাস্তবায়নে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি নিষ্ঠা দেখাতে হবে।

শনিবার ঢাকায় উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে বাজেট পর্যালোচনা গোলটেবিল বৈঠকে এমন মতামত দিয়েছেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন গবেষকবৃন্দ। রাজধানীর বাংলামোটরে উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ের খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এই গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর  ড. আতিউর রহমান।

গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. এম. এম. আকাশ, বিআইজিডির সিনিয়র ফেলো অব প্র্যাকটিস ড. মাহীন সুলতান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. এ. কে. এনামুলক হক, বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এস. এম. জুলফিকার আলী, ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট  ড. নাজনীন আহম্মেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়নের অধ্যাপক ড. এম. আবু ইউসুফ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রুমানা হক, বিআইজিডির ভিজিটিং ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব এবং বিআইআইএসএস’র গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর।

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় মোট বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলা হলেও এই বরাদ্দ থেকে সরকারি পেনশন ও উন্নয়ন প্রকল্প বাবদ বরাদ্দ বাদ দিলে সামাজিক সুরক্ষার অংশ কমে দাঁড়ায় ১১.৬ শতাংশ। বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বাজেটে নগর অঞ্চলের দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষের জন্য নতুন কোন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি না থাকাটা অস্বাভাবিক বলে মনে করেন আলোচকেরা। সামাজিক সুরক্ষা প্রসঙ্গে ড. এ. কে. এনামুল হক বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের একটি শর্ত হলো সার্বজনীন পেনশন স্কিম। কিন্তু এটি পরিকল্পনায় থাকলেও  বাস্তবায়নে ধীর গতি হতাশাজনক। ড. রুমানা হক বলেন ‘বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ ৫ শতাংশের আশেপাশে আটকে আছে বহুদিন। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা বাবদ ব্যয়ের চাপ বাড়ছে জনগণের ওপর।”

সমাজে যারা বিত্তবান তাদের কাছ থেকে বেশি কর আহরণের পরিবর্তে করযোগ্য নন এমন মানুষের কাছ থেকে আয়কর রিটার্ন বাবদ টাকা আদায়ের চেষ্টা এবং প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের ওপর বেশি নির্ভরতার কারণে বাজেটের কর প্রস্তাবগুলোকে গণবান্ধব করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মস্তব্য করেন ড. জুলফিকার আলী। জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট বাস্তবায়নের আহ্বান জানান ড. নাজনীন আহম্মেদ।সভাপতির বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান বলেন, আপতকালিন বাস্তবতার নিরিখে আসছে অর্থবছরের জন্য সরকারি আয়-ব্যয়ের একটি চ্যালেঞ্জিং পরিকল্পনা হিসেবেই প্রস্তাবিত বাজেটকে দেখতে হবে। একই সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কালের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অর্জনগুলো যে শক্তি যোগাবে সেটিও মনে রাখতে হবে।
দেশকন্ঠ/এআর
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।