দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : জয়পুরহাটের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক দাবি করেছেন, আগের স্ত্রীর সন্তান না থাকায় তিনি এই বিয়ে করেছেন। এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর অভিযুক্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুল করিম। তিনি কালাই উপজেলার মোলামগাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সন্তান না হওয়ার অজুহাতে পারিবারিকভাবে আব্দুল করিম দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর ১০ মাস।
মোলামগাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এক ছাত্রীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন। ওই ছাত্রীর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকায়। কিন্তু তার বাবা মোলামগাড়িতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে তারা এখানে বসবাস করেন। তিনি বলেন, বিয়ের বিষয়টি জানার পর গত ১২ জুন ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, স্কুলে আসা নিষিদ্ধ করে তার জবাব চেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পার হয়নি। ১৫ বছর ১০ মাস বয়স হয়েছে। এটি বাল্যবিয়ের মধ্যেও পড়ে। আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশে এটি উল্লেখ করেছি।
দেশকন্ঠ/অআ