• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:২০

কৃত্রিম ‘মানব ভ্রূণ’ বিজ্ঞানের আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?

দেশকন্ঠ ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এর কারণে মানব সভ্যতা যে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে না, তা নিয়ে কোনো বিজ্ঞানীই সুনিশ্চিত আশ্বাস দিতে পারছেন না। তেমনই, আর এক বৈপ্লবিক আবিষ্কার নাড়া দিয়েছে বিশ্বকে। সম্প্রতি মার্কিন একদল গবেষক ‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম মানব ভ্রূণ তৈরি করেছেন। যদিও এ আবিষ্কারকে বিজ্ঞানের বড় এক অগ্রগতি হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শুক্রাণু বা ডিম্বাণু ছাড়াই স্টেম সেল ব্যবহার করে সফলভাবে তৈরি করা হয়েছে এই ভ্রূণ। এগুলোতে হৃৎপিণ্ড বা মস্তিষ্কের মতো অঙ্গ থাকে না, তবে এতে সাধারণত প্লাসেন্টা, কুসুম থলি এবং ভ্রূণে বিকশিত হয় এমন কোষ থাকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ উদ্ভাবন গর্ভপাতের কারণ ও মানব বিকাশের বিভিন্ন বিষয়াদি নতুন করে বুঝতে সহায়তা করবে। তবে, আইনি ও নীতিগত বিভিন্ন প্রশ্নও জন্ম নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন শহরে অলাভজনক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর স্টেম সেল রিসার্চ’ আয়োজিত বার্ষিক সভায় এ কৃত্রিম ভ্রূণকে ১৪ দিন পর্যন্ত বিকশিত প্রাকৃতিক ভ্রূণের পর্যায়ে নেওয়ার বর্ণনা দেন ‘কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি’ ও ‘ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র অধ্যাপক ম্যাগডালেনা জারনিকা-গোয়েটজ।

জানা গেছে, এ কাঠামোর জন্য ডিম্বাণু বা শুক্রাণুর প্রয়োজন পড়ে না। আর এতে স্পন্দনশীল হৃৎপিণ্ড বা মস্তিষ্ক গঠনে ব্যবহৃত কোষ না থাকলেও প্ল্যাসেন্টাসহ অন্যান্য অঙ্গ ও ভ্রূণের নিজের গঠন তৈরিতে ব্যবহৃত কোষ আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে বড় যে আশঙ্কার জায়গা হলো, ‘ডিজাইনার বেবি’ উৎপাদনের। যাদের ক্ষমতা আছে, তারা অর্থ ব্যয় করে ‘সর্বগুণযুক্ত, নীরোগ, শক্তিশালী’ সন্তানের বাবা-মা হবে। সেসব সন্তানই কি ভবিষ্যৎ বিশ্বে চালকের আসনে বসবে? তাদের কাছে ক্রমাগত পর্যুদস্ত হতে থাকবে স্বাভাবিক প্রজননে জন্ম নেওয়া শিশু এবং পরবর্তীকালের নাগরিক?

যদিও এটিকে মানব ভ্রূণ বলতে নারাজ ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের সহযোগী গবেষণা পরিচালক জেমস ব্রিসকো। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, মানব ভ্রূণের স্টেম সেল থেকে প্রাপ্ত মডেল তৈরির জন্য প্রবিধানের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। ভ্রূণ-সদৃশ কাঠামো তার ল্যাব ইতোমধ্যেই তৈরি করেছে। জেরনিকা-গোয়েটজ বলেন, ‘আমি শুধু জোর দিয়ে বলতে চাই যে তারা মানব ভ্রূণ নয়, সিন্থেটিক ভ্রূণ। এগুলো ভ্রূণের মডেল, কিন্তু তারা খুব সুন্দর দেখতে একেবারে মানব ভ্রূণের মতো। পরে আবিষ্কারের জন্য তারা গুরুত্বপূর্ণ পথ দেখাবে’। গবেষকরা আশা করছেন, এ মডেল ভ্রূণগুলো মানব বিকাশের ‘ব্ল্যাক বক্সে’ আলোকপাত করবে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।