দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ভারতে একটি নদী থেকে নিখোঁজ প্রেমিক ও প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং পরে তাদের মরদেহ ভারী পাথরের সাথে বেঁধে কুমির-অধ্যুষিত নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেয়ের পরিবারের দিকে। পরিবারের ‘সম্মান রক্ষার্থে’ তাদের দু’জনকে হত্যা করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। সোমবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী এবং তার ২১ বছর বয়সী প্রেমিককে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ ভারী পাথরের সাথে বেঁধে কুমির-অধ্যুষিত নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার রতনবসাই গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই গ্রামের শিবানী তোমার নামে এক তরুণীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বালুপুরা গ্রামের বাসিন্দা রাধেশ্যাম তোমারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল মেয়েটির পরিবারের। এই ঘটনায় নিহত যুবকের বাবা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে এবং ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি সন্দেহ করছিলেন, কারণ তারা বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, দু’জনই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। তবে গ্রামের কেউ ওই দু’জনকে গ্রাম ছেড়ে যেতে দেখেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে পুলিশ ওই তরুণীর বাবা ও স্বজনদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অপরাধ স্বীকার করে।
ওই তরুণীর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, শিবানী এবং রাধেশ্যামকে গত ৩ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় এবং পরে তাদের মরদেহ ভারী পাথরের সঙ্গে বেঁধে স্থানীয় চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং পরে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তরুণীর পরিবার আমাদের জানিয়েছে, প্রেমিক যুগলকে খুন করে তাদের লাশ চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে আমরা উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়েছি।’ এনডিটিভি বলছে, চম্বল নদীটি ঘড়িয়াল ও কুমিরের অভয়ারণ্য। এই নদীতে ২ হাজারেরও বেশি ঘড়িয়াল (অ্যালিগেটর) এবং ৫০০টি মিঠা পানির কুমির রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়ে ওই প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ওই যুগলের দেহাবশেষ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
দেশকন্ঠ/অআ