• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৯

প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ মিলল কুমির-অধ্যুষিত নদীতে

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‌ভারতে একটি নদী থেকে নিখোঁজ প্রেমিক ও প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং পরে তাদের মরদেহ ভারী পাথরের সাথে বেঁধে কুমির-অধ্যুষিত নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেয়ের পরিবারের দিকে। পরিবারের ‘সম্মান রক্ষার্থে’ তাদের দু’জনকে হত্যা করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। সোমবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী এবং তার ২১ বছর বয়সী প্রেমিককে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ ভারী পাথরের সাথে বেঁধে কুমির-অধ্যুষিত নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
 
এনডিটিভি বলছে, মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার রতনবসাই গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই গ্রামের শিবানী তোমার নামে এক তরুণীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বালুপুরা গ্রামের বাসিন্দা রাধেশ্যাম তোমারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল মেয়েটির পরিবারের। এই ঘটনায় নিহত যুবকের বাবা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে এবং ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি সন্দেহ করছিলেন, কারণ তারা বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, দু’জনই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। তবে গ্রামের কেউ ওই দু’জনকে গ্রাম ছেড়ে যেতে দেখেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে পুলিশ ওই তরুণীর বাবা ও স্বজনদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অপরাধ স্বীকার করে।
 
ওই তরুণীর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, শিবানী এবং রাধেশ্যামকে গত ৩ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় এবং পরে তাদের মরদেহ ভারী পাথরের সঙ্গে বেঁধে স্থানীয় চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং পরে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তরুণীর পরিবার আমাদের জানিয়েছে, প্রেমিক যুগলকে খুন করে তাদের লাশ চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে আমরা উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়েছি।’ এনডিটিভি বলছে, চম্বল নদীটি ঘড়িয়াল ও কুমিরের অভয়ারণ্য। এই নদীতে ২ হাজারেরও বেশি ঘড়িয়াল (অ্যালিগেটর) এবং ৫০০টি মিঠা পানির কুমির রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়ে ওই প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ওই যুগলের দেহাবশেষ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।