• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:১৩

সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২২ জুন, ২০২৩       
  • ২০
  •       
  • ২২-০৬-২০২৩, ১৮:০০:৩৩

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছেন, তাঁর সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে।সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ হতে পারে এবং এর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে পারে না।’আগামীকাল দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের আগে আজ সকালে তিনি গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতিত্ব করেন।যে সব দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান। যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট প্রদান করেছেন।তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি শাসনামলে উপ-নির্বাচনে ভোট দিতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি কারণ, তারা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভোট লুট করেছিল।’এ লক্ষ্যে তিনি তেজগাঁও, মিরপুর ও মাগুরার উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তারা জন্ম নিয়েছে এবং এটাই তাদের অভ্যাস।’তবে তিনি বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মেয়র নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডার একটি আদালতে যে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে, সেই বিএনপি এখন আওয়ামী লীগকে ভোট চোর বলছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভোট চুরির দরকার নেই কারণ, এটি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে জনগণের ভোট পায় এবং এভাবে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে।’আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাঁর দল যখনই পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে, ষড়যন্ত্রের কারণেই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ যখনই ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনও হয়েছিল।’বিপরীতে, জনগণ কখনই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে ভোট দেয় না কারণ, তাদের জনগণের সেবা এবং উন্নতির জন্য কাজ করার কোন আগ্রহই নেই বরং বড় ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছানোর কাজেই ব্যস্ত ছিল।তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত যে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে কেউ ভোট দেয়নি। তাই, তারা ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, বরং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মাধ্যমে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।’সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে বিএনপি গঠন করেছিলেন। তার অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধ করতে ভোট কারচুপির সংস্কৃতি চালু করেন। আওয়ামী লীগ দেশবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি, আমার ভোট, আমার পছন্দ আওয়ামী লীগের শ্লেগান।’খুনি, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল বিএনপির  বিরুদ্ধে সবাই সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে খুনি ও সন্ত্রাসীদের দল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা জনগণের কল্যাণ চায় না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে দেশকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তার শাসনামলে বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করেছে যা বিগত সাড়ে ১৪ বছর এবং তার আগের সময়ের উন্নয়নের সঙ্গে সহজেই তুলনা করা যায়। .বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে দুর্নীতি, জঙ্গি, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে গণতান্ত্রিক ধারা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে।তিনি বলেন, ‘অনেক মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে আমরা অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন যা জনগণের পক্ষে কথা বলে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।’ সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা এবং নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার বারবার চেষ্টা চালানোর কথা উল্লেখ করেন তিনি।‘তারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এটা করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ এটি মাটি ও মানুষের সংগঠন।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।