- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ভুক্তভোগীকে বিয়ে করা ও সন্তানের দায়িত্ব নেয়ার শর্তে জামিন পেয়েছেন ধর্ষণ মামলার আসামি মো. আল-আমিন (২৬)। ২৫ জুন রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মো. আল-মামুনের আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন। ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী। মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯ মে আল-আমিনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম। এর পর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এ পাঠানো হয়।
মামলা দায়েরের পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি। গত ১৮ জুন আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আসামিকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন তিনি। আদালত আসামিকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন। রোববার আল-আমিনকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রবিউল হোসাইন।
শুনানিতে রবিউল হোসাইন বলেন, আল-আমিন প্রায় ৯ মাস কারাগারে আছেন। বাদীপক্ষের সঙ্গে মৌখিক আপস হয়েছে। বাদীকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আল-আমিন। বাচ্চার পৈতৃক পরিচয়সহ সব ধরনের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক তিনি। বিয়ের বা অন্য যেকোনো শর্তে তার জামিন চাই। জামিন দিলে সকল শর্তে মেনে নিয়মিত আদালতে উপস্থিত থাকবেন আসামি। শুনানি শেষে আদালত বাদীকে বিয়ে করা ও সন্তানের দায়িত্বে নেওয়ার শর্তে আল-আমিনকে জামিন দেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট রবিউল হোসাইন। এদিন শুনানিকালে সন্তানকে নিয়ে আদালতে হাজির হন বাদী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চার বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আল-আমিনের। আল-আমিন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে বাদী তার বড় বোনের বাসা মতিঝিলের দক্ষিণ কমলাপুরে আসেন। ১২ এপ্রিল বেড়ানোর কথা বলে আল-আমিন তাকে একটি রুমে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বাদী বিয়ের চাপ দিলে আল-আমিন টালবাহানা শুরু করেন। ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ের কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় আসতে বলেন। তিনি ঢাকায় এসে বোনের বাসায় ওঠেন। এদিকে, তার বোনের স্বামী অসুস্থ হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই সুযোগে বাসায় এসে আল-আমিন তাকে ধর্ষণ করেন। তখন ভিকটিম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভিকটিম বিয়ের কথা বললে আল-আমিন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তরুণীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন আল-আমিন।
আগামী ১৬ জুলাই আদালতে মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা