• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৫৮

শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ, অঝোর নয়নে কাঁদলেন হাজিরা

পথরেখা অনলাইন : পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে আসা হাজিরা বৃহস্পতিবার (১১ জিলহজ) ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে উদ্দেশ্য করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করেছেন। তাঁরা আগামীকাল শুক্রবারও (১২ জিলহজ) ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে উদ্দেশ্য করে ২১টি পাথর ছুঁড়ে মারবেন। প্রতিটি শয়তানকে উদ্দেশ্য করে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপের বিধান রয়েছে।

হাজিরা আজ সৌদি আরবের মিনার জামারায় (শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছোঁড়ার স্থান) জোহরের নামাজ আদায় করার পর থেকে পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানের উদ্দেশে সাতটি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করেন। এ সময় হাজিদের হৃদয়ে ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতি সৃষ্টি হয়। শয়তানকে পাথর মারার সময় বেশিরভাগ হাজিই আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি। হাজিরা শয়তানের কবল থেকে রক্ষা পেতে মহান আল্লাহর দরবারে অঝোর নয়নে কেঁদেছেন।

এদিন হাজিরা মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় প্রায় সার্বক্ষনিক জিকিরে মশগুল থাকেন। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ ছাড়াও নিজেদের আত্মশুদ্ধি ও পাপমুক্তির আকুল বাসনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে অঝোরে কেঁদে বুক ভাসান। সবার মুখে উচ্চারিত হয় মহান আল্লাহর বাণী। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য।

ওই সময়ে তাঁদের মুখে উচ্চারিত হয়েছে, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনি। অর্থাৎ ‘আমি উপস্থিত হয়েছি হে আল্লাহ। আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে। তোমার কোনো শরিক নেই। পুনরায় আমি উপস্থিত হয়েছি। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও সকল নিয়ামত শুধু তোমারই জন্য। সব সাম্রাজ্যও তোমার এবং তোমার কোনো শরিক নেই।’

শয়তানকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারার আগে হজের তৃতীয় অর্থাৎ শেষ রুকন আদায়ের জন্য মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে সুবহে সাদিকের পর থেকে কাবা শরীফ তাওয়াফ করেন হাজিরা। এরপর তাঁরা কাবা শরীফের সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার ‘সাঈ’ (দৌঁড়ানো) করেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার ফিরে যান মিনায়, নিজেদের তাঁবুতে।আগামীকাল ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপের পর সন্ধ্যার আগে হাজীরা মক্কার উদ্দেশে মিনা ত্যাগ করবেন। মক্কায় তাঁরা কাবা শরীফকে ফরজ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।