• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৪৪

ফ্রান্স জ্বলছে ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন

পথরেখা অনলাইন : ফ্রান্সে গত মঙ্গলবার তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের নিহতের ঘটনার পর উত্তাল দেশটি। এ নিয়ে দেশটিতে দ্বিতীয় রাতের মতো তুমুল বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যে অন্তত ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। খবর বিবিসির।ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আজ রাতে ফ্রান্সজুড়ে ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে বিক্ষোভ সামাল দিতে গতকাল ৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি বলে জানান তিনি। এর আগে কিশোরকে হত্যার ঘটনাকে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ‘ক্ষমার অযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। ম্যাক্রো বলেছেন, এ ঘটনাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। তিনি এ নিয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, প্যারিসের রাস্তায় গত মঙ্গলবার সকালে হলুদ মার্সিডিজ চালাচ্ছিলেন ১৭ বছরের নাহেল এম। জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে,  ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে পুলিশ তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে মারে। এরপরেই বুধবার শুরু হয় প্রতিবাদ।প্যারিসের শহরতলিতে রাস্তায় নেমে মানুষ নোংরা ফেলার বিনগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি জায়গায় বাসেও আগুন লাগানো হয়। একটি শহরে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ গেলে তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু প্যারিস নয় এ বিক্ষোভ ফ্রান্সের অনেকগুলো শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, উত্তরের শহর লিলে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে টুলুসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। এ ছাড়া প্যারিসের দক্ষিণে অ্যামিয়েন্স, ডিজন এবং এসোনের প্রশাসনিক বিভাগেও গোলযোগ দেখা গেছে। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৪ জন পুলিশকর্মীর আহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশটির পুলিশ প্রথমে এ ঘটনা সম্পর্কে জানায়, ১৭ বছর বয়সী নাহেল এম পুলিশের এক অফিসারকে লক্ষ্য করে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিল। তাকে থামানোর জন্য গুলি চালানো হয়। তবে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে প্রচুর ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ি থেমে আছে। দুই পুলিশকর্মী ওই গাড়ির পাশে। একজন রিভলভার তাক করে আছে। একটা গলার আওয়াজ ভেসে আসে, মাথায় গুলি করব। এরপর গাড়ি নিয়ে নাহেল পালাতে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে তার মৃত্যু হয়।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।