• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:২৪

সিন্ডিকেটে জিম্মি চামড়ার বাজার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

  • জাতীয়       
  • ০৬ জুলাই, ২০২৩       
  • ১৭
  •       
  • ০৬-০৭-২০২৩, ২৩:৩৬:৪৬

পথরেখা অনলাইন : দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর চামড়ার বাজার বসেছে কিশোরগঞ্জ শহরের পৌর মার্কেটের মোরগমহল এলাকায়। কিন্তু বিশেষ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দাম মিলছে না পশুর চামড়ার। সরকার নির্ধারিত প্রকার ভেদে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা ফুটের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ফুট প্রতি মাত্র ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। চামড়ার দাম না পেয়ে দিশেহারা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার পশুর চামড়া নিয়ে বাজারে এসেছেন মৌসুমী  ব্যাপারীরা। কিন্তু ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেকেরও কম বলছে। কেউ কেউ ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবহন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচের ভয়ে পানির দরে ট্যানারি মালিকদের হাতে চামড়া তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার কেউ কেউ চামড়া ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
 
নরসিংদীর রায়পুর থেকে দুই শতাধিক গরুর-ছাগলের চামড়া নিয়ে আসা আমিন বলেন, গতকাল রাতেই  বাজারে চামড়া নিয়ে এসেছি। যেভাবে দাম বলেছে এভাবে বিক্রি করলে আমাদের অনেক টাকা লোকসান হবে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এখন দেখছি বিক্রি না করেই চামড়া নিয়ে ফিরে যেতে হবে। নেত্রকোণা থেকে চামড়া নিয়ে আসা হারিছ মিয়া জানান, চামড়ার বাজারে বড় সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কারণে বাধ্য হয়ে চামড়া ৪০ টাকা ফুটের পরিবর্তে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টাকা ফুট দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। আর এখানে ফুটে বিক্রি হচ্ছে না। পিস হিসেবে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। এবার হাটে কিছু ট্যানারি মালিকদের দালাল এসেছে। তাদের সিন্ডিকেটের হাতই জিম্মি এই বিশাল চামড়ার বাজার। আমরা আশা নিয়ে কিশোরগঞ্জের এই বাজারে এসেছিলাম। এখন হতাশা নিয়ে ফিরতে হবে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাইয়ের এলাকার রবি হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এবারও চামড়ার মূল্য কম। তাই এবার ১০০ চামড়া কিনেছি। বাজারে কম ট্যানারি মালিক এসেছেন। তাই কম মূল্যই চামড়া বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবে ঢাকা থেকে কিছু খুচরা ব্যবসায়ী এসেছেন। তারা কিনে লাভে ট্যানারিতে বিক্রি করবেন।
 
সাভারের হেমায়েতপুরের অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৫ হাজার চামড়া কিনেছি। বাজার মোটামুটি ভালোই রয়েছে। সরকার নির্ধারিত রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চামড়া কিনছি। কিশোরগঞ্জ শহরের পৌর মার্কেটের মোরগমহল চামড়া বাজারের ইজারাদার ও সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হলুদ বলেন, আমাদের বাজারে হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চামড়া নিয়ে আসানে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তিনটি হাটে আমাদের বাজারে প্রায় ১ লাখ চামড়া আসে। গত কয়েক বছর ধরে চামড়ার বাজারের যে অবস্থা তাতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে রয়েছেন। চামড়ার বাজার সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাঁচাতে না পাড়লে এই শিল্পটাই ধ্বংস হয়ে যাবে। সরকারের কাছে এই শিল্পটাকে বাঁচানোর দাবি জানাই। 
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।