• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১২ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:১২

বর্ষণ-বন্যা-ভূমিধসে ভারতে নিহত অন্তত ৬২৪

পথরেখা অনলাইন : প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট ঢল-ভূমিধস-বন্যায় জুনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ৬২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে গুজরাটে। ঝড়-বৃষ্টি-ঢল-ভূমিধসের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে ১ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ১০৩ জনের। এই মৃতদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’র শিকার। আরব সাগরে উদ্ভুত ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গত ১৫ জুন গুজরাটের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল। দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল। জুনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত হিমালয় পর্বতমালার কোলঘেঁষা এই রাজ্যটিতে প্রবল বর্ষণ-ঢল-বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের। গত বছর অবশ্য এই সময়সীমায় ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল হিমাচলে।
 
এছাড়া মহারাষ্ট্রে ৯২ জন, মধ্যপ্রদেশে ৯২ জন, কর্ণাটকে ৮৭ জন, আসামে ৩৮ জন, রাজস্থানে ৩৬ জন, হরিয়ানায় ১৯ জন এবং পাঞ্জাব, মেঘালয় ও মণিপুরেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। গত দেড় মাসে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগের ফলে বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি ও অবকাঠামোগত বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের রোববারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছরের বর্ষায় মৃত্যুর হার অন্তত ৩২ শতাংশ কম। এটি একদিকে যেমন সুখবর তেমনি অন্যদিকে উদ্বেগজনকও। কারণ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বর্ষায় উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতে অতিমাত্রায় বর্ষণ হলেও পূর্ব, মধ্য ও দক্ষিণের অনেক রাজ্যে বৃষ্টিপাত হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কম।
 
জুন থেকে বর্ষাকাল শুরু হয় ভারতে। এর আগেও প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যা-ঢল-ভূমিধসে মৃত্যু হতো তবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত কয়েক বছরে বৃষ্টিপাতের মাত্রার মাত্রাতিরিক্ত হ্রাসবৃদ্ধি ঘটছে, অন্যদিকে বাড়ছে এই জনিত দুর্যোগের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। বিশেষ করে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত এমন কোনো বছর যায়নি, যে বছর উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে বর্ষাকালের দুর্যোগজনিত কারণে কোনো মৃত্যু ঘটেনি।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।