পথরেখা অনলাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালীগঞ্জে বক্তারপুর ইউনিয়ন ও এর অন্তর্গত সদ্য ঘোষিত ৯টি ওয়ার্ড শাখা আওয়ামী যুবলীগের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে উপজেলা যুবলীগ। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী হারুন-অর-রশিদ টিপু ২২ জুলাই স্থগিতাদেশে স্বাক্ষর করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বক্তারপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৯টি ওয়ার্ডে যুবলীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে স্থানীয় সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশকে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেয়ার জন্য বক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক মজিুবর রহমান পলাশ ও থানা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বক্তারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মোল্লা কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতার যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের কমিটিতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদসহ বিভিন্ন পদে রেখে তড়িগড়ি করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আংশিক কমিটি ঘোষনা করে। সম্প্রতি বক্তারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজিুজল হক মাসুমের কমিটি বাণিজ্যের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অর্থের বিনিময়ে ওয়ার্ড কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থি ও অযোগ্য ব্যক্তিদের পদায়িত করায় স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও আজিজুল হক মাসুম ও আল আমিন মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা ও নারী কেলেংকারীর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হারুন-অর-রশিদ টিপু জানান, সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা, নেতৃত্ব দানে অযোগ্যতা ও অদক্ষতা, কমিটি বাণিজ্য, কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের পদায়নের কারণে গঠনতন্ত্রের ধারা-২৩ মোতাবেক বক্তারপুর ইউনিয়ন শাখা ও এর অন্তর্গত ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামী যুবলীগের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। সেই সাথে কেন কমিটিগুলো বিলুপ্ত ঘোষনা করা হবে না তা আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সেলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ভাবে জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের লিখিত জবাবের ভিত্তিতে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা বা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পথরেখা/আসো