ভোরের পাতার ছোঁয়ায় জেগেছিল পাথরের চোখ
ঠিক পাথর নয়,পাথরের মতো কঠিন প্রতিমা!
দুলে উঠল যেন ধলেশ্বরীর মেয়ে
মোহনায় খরস্রোতা শ্যামাঙ্গী তরঙ্গের নাভি!
তুমি কি তবে আধাপ্রৌঢ় কেরানি অবেলায়
গিয়েছিল পিসিদের বাড়ি?
আকাশে মেঘের ঝুলে বয়ে চলে নদী,
তোমার চুলেরা ওড়ে ও কেশবতী যুবতী
তোমার টোল পড়া গালে সাজেক ঢালের সূর্যোদয়
দেখি আনন্দ ভোরে!
দেখি আমি আর গলে গিয়ে হ্রদ হয়ে
মিশে যাই কীর্তনখোলার রাতের রহস্য জলে!
জলের কালিতে লিখি:
এই জীবনে আমি চাই না তোমারে
তুমি পর জনমের লক্ষ বছর আমার সাথে থেক।
পাশে থেক নরম কাঁথার মতো, কাদা জড়ানো শরীর
থেকে মুছে দিয়ো ক্লেদ; কষ্টের রাতগুলোয় ঘুম দিয়ো
অথবা শুনিও তুমি রবিঠাকুরের কিছু প্রিয় গান!
আর প্রাণ চায় তবে চক্ষুও চায় বলো
আমি কোনো সাধু নই
সাধারণ কেরানি ছিলাম নশ্বর পৃথিবীতে!
নতুন অবিনশ্বর জগতে এই আমি কিছু নই আর
শুধু পেতে চাই তোমায় কুড়িয়ে রাখার অনন্ত অধিকার।
পথরেখা/আসো