• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:৩৩

পাঁচ মামলায় ক্ষমা তবে সু চি গৃহবন্দিই

পথরেখা অনলাইন : ২০২০-তে নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল সু চি-র দল। কিন্তু তার কিছু দিন পরেই সেনা অভ্যুত্থান হয় মায়ানমারে। মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-কে পাঁচটি মামলায় রেহাই দিল জুন্টা সরকার। তবে বন্দিদশা কাটছে না নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রীর। গত সপ্তাহেই নেপিদ-র জেল থেকে সরিয়ে কোনও অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। সেখানেই আপাতত সু চি থাকবেন বলে জুন্টা সূত্রে জানানো হয়েছে।
 
২০২০-তে নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল সু চি-র দল। কিন্তু তার কিছু দিন পরেই সেনা অভ্যুত্থান হয় মায়ানমারে। সে বছর ১ ফেব্রুয়ারি সু চি-সহ বহু গণতন্ত্রকামী নেতা-নেত্রীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ অসংখ্য অভিযোগ আনা হয়। তার পরেই জুন্টা আদালতে ২২টি মামলায় সু চি-কে দোষী সাব্যস্ত করে ৩৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
 
জুন্টা সরকারের মুখপাত্র আজ জানিয়েছেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল সু চি-কে পাঁচটি মামলায় রেহাই দিয়েছে। তার পরেও এখনও ১৭টি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। পাঁচটি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে তাঁর সাজার মেয়াদ ছ’বছর কমে গেল। এখন তাঁর মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ কমে হল ২৭ বছর। আপাতত ৭৮ বছর বয়সি নেত্রীকে জেল থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুন্টা মুখপাত্র।
 
৩ অগস্ট নেপিদ-তে এক বিশাল বুদ্ধমূর্তির উন্মোচন করবেন জুন্টা চেয়ারম্যান মিন আউং লায়িং। সেই উপলক্ষে সাত হাজার বন্দির সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সু চি-ও।
 
গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় ২৩ হাজার জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, সেনার হাতে নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০০-রও বেশি মানুষ। তবে এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ জুন্টা। আমেরিকা-সহ বিভিন্ন পশ্চিমি দেশ মায়ানমারের বিরুদ্ধে অসংখ্য আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। কিন্তু তবু দমন-পীড়নের নীতি থেকে সরছে না তারা। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করার পরে জুন্টা আশ্বাস দিয়েছিল, এ বছর অগস্টে সাধারণ নির্বাচন হবে। কিন্তু গত কাল এক বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে, আপাতত কোনও নির্বাচন হচ্ছে না।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।